অনলাইন ডেস্কঃজনগণকে উদ্বুদ্ধ করে তাদের বাঁচার অধিকার, নিরাপত্তার অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য সংগ্রাম করতে হবে। আসুন, আমরা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ি, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের পার্লামেন্ট তৈরি করি।
শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকার নুর আহমদ সড়কে আয়োজিত সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা বলেন।বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি ছিলেন।
তিনি বলেন, এ নির্বাচন কমিশন দিয়ে কখনও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। এ কমিশনকে বাতিল করে সম্পূর্ণ নতুনভাবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য মানুষ দিয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। যে নির্বাচন আমরা করেছি, তা বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে।
জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের মনে আছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নিয়ে কোনো সমস্যা হয়েছে ? হয় নাই।
২০১২ সালে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে করে দলকে ব্যবহার করে, ক্ষমতাকে ব্যবহার করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে পারে। তারা সমস্ত নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে- বলেন বিএনপি মহাসচিব।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের থানায় থানায়, গ্রামে গ্রামে যেতে হবে, ইউনিয়নে ইউনিয়নে যেতে হবে, মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়তে হবে। জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে তাদের বাঁচার অধিকার, নিরাপত্তার অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য সংগ্রাম করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ৩০-৪০ বছর দেশের মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন। স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে দেশের মানুষকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছেন। অথচ তার বিরুদ্ধে এখনও ৩৬টি মামলা দেয়া আছে। বিএনপির এমন কোনো নেতাকর্মী নেই, যার বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। আজ বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নেই। তার ব্লাড প্রেসার ও সুগার ওঠানামা করছে। কিন্তু বেগম জিয়ার প্রাপ্য চিকিৎসাসেবা তাকে দেয়া হচ্ছে না।
নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার আন্দোলনের জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। ডাক আসার সঙ্গে সঙ্গে মাঠে নেমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
দেশে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, দেশের অনেক জায়গায় বন্যা হচ্ছে। লাখো মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তু সেদিকে সরকারের মাথাব্যথা নেই। বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা। তারা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে এখন মৌলিক অধিকারও হরণ করছে।