চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখুলনায় সমাবেশে বিএনপি নেতারা বলেছেন, গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা, ভোটাধিকার এবং মৌলিক মানবাধিকার ফিরে পেতে খালেদা জিয়ার মুক্তির কোন বিকল্প নেই। তিনি কারামুক্ত হলেই দেশ থেকে শাসন ব্যবস্থা দূর হবে। খুন, গুম, অপহরণ, মিথ্যা মামলায় হয়রানি, জুলুম নির্যাতন প্রতিটি অবিচারের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে। মধ্যরাতের ভোটে ক্ষমতা দখলকারী আ’লীগ ও তাদের দোসররা কেউ ছাড় পাবে না। বক্তারা মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানোর তীব্র নিন্দা জানান।
বক্তারা বলেন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলায় আদালত নিজস্ব গতিতে নয়, চলছে সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী। ফলে একজন বয়োবৃদ্ধা অসুস্থ নারী হিসেবে তিনি আইনের কাছে সুরক্ষা পাওয়ার যে সব অধিকার রয়েছে, তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। গায়ের জোরে, ক্ষমতার জোরে এবং পেশী শক্তির জোরে মানুষের অধিকার বঞ্চিত করার পরিণতি কখনোই শুভ হয়না এবং সরকারকে করুণ পরিণতির শিকার হতে হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তির ফয়সালা রাজপথেই হবে এবং সে লক্ষ্যে দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে প্রস্তত থাকার ও ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন খুলনা বিএনপি’র নেতারা।
বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ন্যায্য জামিন বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগে খুলনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে দলের নেতারা এসব কথা বলেন। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয় এ সমাবেশ।
জেলা বিএনপি’র সভাপতি এড. এস এম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন নগর ষাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, আমীর এজাজ খান, মীর কায়সেদ আলী, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামন মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, স ম আব্দুর রহমান, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম জনি, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, এড. তছলিমা খাতুন ছন্দা, মাহবুব হাসান পিয়ারু, এড. তৌহিদুর রহমান চৌধুরী তুষার, একরামুল হক হেলাল, শরিফুল ইসলাম বাবু প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন সাজ্জাদ আহসান পরাগ ও কামরান হাসান। সমাবেশের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা আব্দুল মান্নান।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শেখ মোশাররফ হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, রেহানা আক্তার, শাহজালাল বাবলু, চৌধুরী কওসার আলী, এড. শরিফুল ইসলাম জোয়াদ্দার জলি, আজিজুল হাসান দুলু, এড. মাসুদ হোসেন রনি, সুলতান পিন্টু, এড. শহিদুল আলম, মুর্শিদুর রহমান লিটন, এড. গোলাম মাওলা, ইকবাল হোসেন খোকন, সাদিকুর রহমান সবুজ, মুজিবর রহমান, মোঃ শাহজাহান, এহতেশামুল হক শাওন, শেখ সাদী, জালু মিয়া, এনামুল কবির, এড. মশিউর রহমান নান্নু, শামসুজ্জামান চঞ্চল, ফারুক হিল্টন, নাজমুস সাকির পিন্টু, কামরুল ইসলাম সিপার, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, হাফেজ আবুল বাসার, কাজী মিজানুর রহমান, হাবিবুর রহমান হবি, মুজিবর রহমান ফয়েজ, খন্দকার ফারুক হোসেন, মশিউর রহমান যাদু, জসিম উদ্দিন লাবু, নাজির উদ্দিন আহমেদ নান্নু, আবুল কালাম জিয়া প্রমুখ।
জেলা বিএনপি’র একাংশ ও অঙ্গ সংগঠন : জেলা বিএনপি’র একাংশ ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে গতকাল শনিবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীর জেলা পরিষদ সংলগ্ন চত্বর থেকে মিছিলটি বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর ফেরীঘাট মোড়ে গিয়ে পথসভার মধ্যদিয়ে শেষ হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি মোস্তফা উল বারী লাভলু। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী। জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েদের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তৃতা করেন মোল্লা সাইফুর রহমান, ইলিয়াস মল্লিক, উজ্জ্বল কুমার সাহা, হাফিজুর রহমান, আতাউর রহমান রনু, খান ইসমাইল হোসেন, মিজানুর রহমান, অধ্যাপক আইয়ুব হোসেন, রফিকুল ইসলাম বাবু, শাহনুর রহমান আরজু, মল্লিক হিরাঙ্গীর হোসেন হিরু, বিকাশ মিত্র, সরদার আব্দুল মালেক, শরিফুল ইসলাম বকুল, আব্দুল মালেক, আল আমিন সানা, শহিদুল ইসলাম, শাহাবুদ্দিন ইজারাদার, মোল্লা আইয়ুব হোসেন, নাদিমুজ্জামান জনি, মোল্লা রিয়াজুল ইসলাম, মোঃ নজরুল ইসলাম, সেতারা সুলতানা, শফিকুল ইসলাম বাচ্চু, মোল্লা হুমায়ুন কবির, ওহেদুজ্জামান সোহাগ, আতিক নেওয়াজ চঞ্চল, মঞ্জুর আরেফিন, শাহিনুর রহমান, মাসকুর হাসান ফ্রান্স, কুদরতে এলাহী স্পীকার, হাবিবুর রহমান বেলাল, আশরাফুল ইসলাম, বোরহান বিশ্বাস, দিদারুল আলম, সরদার তাহেরুল ইসলাম, মোশারফ শিকদার, আব্দুর রাজ্জাক কচি, খন্দকার ফারুক হোসেন প্রমুখ।