অনলাইন ডেস্কঃ ময়মনসিংহের ভালুকায় স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাইফুল পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান ও তিনটি ছোরা উদ্ধার করেছে।
নিহত সাইফুল উথুরা ইউনিয়নের কৈয়াদী গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ১৬ জুন ভালুকার উথুরা ইউনিয়নের সোনা উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে স্কুলে যাওয়ার পথে কায়ানাড়া নামক স্থানে জঙ্গলের ভেতর অস্ত্রের মুখে গণধর্ষণ করে ও মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে সাইফুল, রমজানসহ তিন বখাটে। ২৪ জুন ওই ছাত্রী একই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আবারও ধর্ষণের চেষ্টা চালায় তারা।
এ সময় স্কুলছাত্রী কৌশলে পালিয়ে বিষয়টি পরিবারকে জানায়। ৩০ জুন এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় মামলা করেন।
গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, গোপন সূত্রে খবর পাই গণধর্ষণ মামলার এক নম্বর আসামি সাইফুল ডাকাত ভালুকার হাতিবের এলাকার একটি বাড়িতে অবস্থান করছে। এমন সংবাদে সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ভালুকা থানা এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে যৌথ অভিযান চালালে দুষ্কৃতকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে দুষ্কৃতকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে সাইফুল নামে একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। ওই ঘটনায় দুই পুলিশ আহত হয়।
নিহত সাইফুলের বিরুদ্ধে ভালুকায় ডাকাতি, ধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান ও তিনটি ছোরা উদ্ধার করেছে।