রূপকথার গল্পে ‘র্যাপুনজেল’ চরিত্রের নাম শুনেছেন অনেকেই। লম্বা চুল ছিল তার। সেই চুল ধরেই ‘র্যাপুনজেল’ এর কাছে পৌঁছে গিয়েছিল রাজপুত্র। রাজপুত্র আসুক না আসুক বাস্তবে লম্বা চুল রাখার শখ অনেকেরই থাকে। কিন্তু শখ থাকলেই তো আর সবার চুল লম্বা হয় না। তার উপর আছে পরিচর্যার কষ্ট।
তবে, ১২ বছর ধরে এই কাজটি করছিলেন গুজরাটের নীলাংশী প্যাটেল। মাথার চুলের কারণেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তুলেছেন। ২০০ সেন্টিমিটারেরও বেশি লম্বা চুল ছিল নীলাংশীর। মাত্র কয়েক মিনিটে তা কাটিয়ে ফেললেন তিনি।
ছয় বছর বয়স থেকে চুল লম্বা করছিলেন নীলাংশী। চুল কাটতে গিয়ে সেলুনে খুবই খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল তার। তাই সেই বয়সেই চুল কাটা বন্ধ করেছিলেন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম ওঠার পর থেকেই গুজরাটে ছড়িয়ে পড়ে ১৮ বছরের তরুণীর নাম। টিনএজার হিসাবে নীলাংশী সবচেয়ে লম্বা চুলের অধিকারী। অনেকে তাকে গুজরাটের ‘র্যাপুনজেল’ বলেও ডাকেন।
তবে, সাধের সেই চুলই কেটে ফেলেন তিনি। ইতোমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে নীলাংশীর চুল কাটার ভিডিও। কাটা পড়ার আগে প্রিয় চুলকে চুম্বন করে বিদায় জানান নীলাংশী। বলেন, ‘১২ বছর আগে ঠিক কবে চুল কেটেছিলাম, সেটা নিজেরই মনে নেই। তাই নতুন হেয়ার কাট নিয়ে খুবই উত্তেজিত আমি।’
প্রথমে শোনা গিয়েছিল, নিজের লম্বা চুল ক্যানসার রোগীদের জন্য দান করছেন নীলাংশী। তবে পরে ইনস্টাগ্রামে ১৮ বছরের তরুণী জানান তার এই লম্বা চুল আপাতত আমেরিকার মিউজিয়ামে থাকবে। আর তার মায়ের লম্বা চুল ক্যানসার রোগীদের জন্য দান করা হবে।
সূত্র: জি নিউজ ও সংবাদ প্রতিদিন।