সেবা নিতে আসা গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) টিম কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালায়। তবে দুদকের টিম পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার আগেই পালিয়ে যায় দালালরা।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল।
হয়রানির শিকার সেবাপ্রার্থীরা বলছেন, ঘুষ না দিলে আবেদনপত্রে নানান ত্রুটি দেখানো হয়। তবে সরকারি ফি এর বেশি টাকা দিলে ত্রুটি থাকলেও তা বৈধ আবেদনপত্র বলে নিয়ে নেন কর্মকর্তারা।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার উপপরিচালক জাকারিয়া হোসেন বলেন, ‘আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস কুষ্টিয়া দালালদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সেখানে অভিযান চালাই। তবে অভিযানের আগেই দালালরা পালিয়ে যায়।
সেবাপ্রার্থীদের অভিযোগ, ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার রশিদ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ফরম জমা দেয়ার সময় ঘুষ না দিলে নানান অজুহাতে হয়রানি করা হচ্ছে তাদের।
অভিযানকালে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি ও অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়। এছাড়া দৈনিক জমা পড়া সাধারণ ও জরুরি পাসপোর্টের আবেদন যথাসময়ে প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে কি না, তা পাসপোর্ট অফিসের নিজস্ব সার্ভারে খতিয়ে দেখেন দুদক কর্মকর্তারা।
পাসপোর্ট অফিসে অভিযানে পাওয়া তথ্য-প্রমাণ ও নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেবে দুদকের আভিযানিক টিম।
পাসপোর্ট করাতে আসা রিয়াজুর রহমান বলেন, ‘ফরমের সঙ্গে সংযুক্ত করা কাগজ সত্যায়িত না থাকায় আবেদন জমা নেন না কর্মকর্তারা। তবে সেখানে থাকা একজন আনসার সদস্যের নির্দেশে মূল ফটকের বাইরে থেকে দালালের মাধ্যমে সত্যায়িত করা যায়। এটুকু কাজের জন্য তারা ২০০ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।’
সেবা নিতে আসা আরও বেশ কয়েকজন গ্রাহক জানান, নানা অজুহাতে তাদেরকে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। ঘুষ না দিলেই পাসপোর্টের আবেদন ত্রুটিপূর্ণ দেখানো হয়। তবে ঘুষ দিলেই সব অবৈধ কাগজপত্রও বৈধ হয়ে যায় এখানে। দ্রুত বাসায় পৌঁছে যায় পাসপোর্টও।