চঞ্চল ছিল একজন মেধাবী ছাত্র এবং একই সাথে সংগ্রামী দলের প্রতি শতভাগ কমিটেড সাহসী ছাত্রনেতা। বর্তমান ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের জন্য সে একজন অনুকরণীয় ছাত্রনেতা। খুলনায় ছাত্রদলকে বিকশিত করতে এবং কলেজ ছাত্র সংসদগুলির নির্বাচনে ছাত্রদলের ঈর্ষণীয় সাফল্য লাভের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ কারিগর ছিল শহীদ ওয়াহিদুজ্জামান চঞ্চল।
ছাত্রনেতা হিসেবে ‘৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং ‘৯৬ এর পর হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে একজন সাহসী সংগঠক হিসেবে চঞ্চলের ভূমিকা ফ্যাসিবাদ ও দুঃশাসন বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তরুণ প্রজম্মের জন্য অনুসরণীয় হতে পারে। খুলনা জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি ও ৯০ এর ম্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলনের রাজপথের সাহসী যোদ্ধা শহীদ ওহিদুজ্জামান চঞ্চলের ২৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর কেডিএ এভিনিউ (তেঁতুলতলা মোড়) সোনাডাঙ্গা থানার বিএনপি’র কার্যালয়ে সাবেক ছাত্রনেতা ও বর্তমান বিএনপি নেতা এডভোকেট ফজলে হালিম লিটনের সভাপতিত্বে এবং ছাত্রদল খুলনা মহানগর শাখার সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে এ আলোচনা সভায় মঞ্জু আরও বলেন, রাজনীতির মধ্যেকার এবং রাজনীতির বাইরে দুর্বৃত্তপনা ও মাস্তানতন্ত্রের বিরুদ্ধে চঞ্চল ছিল আমাদের একজন বিশ্বস্ত সহযোগী। আজকের রাজনীতির বাস্তবতায় দুর্নীতি, লুটপাট, দুর্বৃত্তায়নের বিস্তার এবং খারাপ লোকের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে চঞ্চল বেঁচে থাকলে সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারতো। অন্যান্য বক্তারা শহীদ ওয়াহিদুজ্জামান চঞ্চলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা একদল দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকদের অপতৎপরতার কারণেই অনুকূল সময় পেলেও চঞ্চল হত্যার বিচার প্রাপ্তি থেকে আমরা বঞ্চিত হয়েছি। শহীদ চঞ্চলের মাতা পুত্র হত্যার বিচার চেয়ে ২৪টি বছর অপেক্ষার আক্ষেপ নিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। যা আমাদের জন্য চরম বেদনার এবং লজ্জারও বটে।
নেতৃবৃন্দ শহীদ চঞ্চল হত্যা মামলার কার্যক্রম শুরু এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী খুনি শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছে। তার সরকার গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি রেখে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ বঞ্চিত করে তাঁকে তিলে তিলে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া আজ মুক্ত। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামী দিনে সরকার গঠণের প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিটি সাবেক মেয়র ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানীত সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি। আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, রবিউল ইসলাম রবি, কামরান হাচান প্রমুখ। ছাত্রনেতা মাহিম আহমেদ রুবেল ও রাজিবুল আলম বাপ্পির পরিচালনায় দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুল গফ্ফার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নজরুল ইসলাম বাবু, ইকবাল হোসেন খোকন, আনোয়ার হোসেন, সাদিকুর রহমান সবুজ, শাসমুজ্জামান চঞ্চল, ইশহাক তালুকদার, হাসান মাহমুদ রিজভী, আকরাম হোসেন খোকন, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, মহিউদ্দিন টারজান, জাহিদ কামাল টিটো, আব্দুল জব্বার, তৌহিদুল ইসলাম খোকন, মনিরুজ্জামান মনির, মোস্তফাকামাল, কামাল উদ্দিন, জাকারিয়া লিটন, আলমগীর ব্যাপারী, মিজানুজ্জামান তাজ, নাহিদ আল মামুন, ইকবাল হোসেন, আলমগীর হোসেন, শামীম খান, লিটু পাটোয়ারী, শাকিল আহমেদ, গোলাম নবী ডালু, মোস্তফা জামান মিণ্টু, সুলতান মাহমুদ সুমন, মিজানুর রহমান মিজান, সেলিম বড় মিয়া, শরিফুল ইসলাম সাগর, মাসুদ রেজা, সালাউদ্দিন সান্নু, ওহাব শরীফ, হাবিব খান, শামীম রেজা, মোল্লা মেহেদী হাসান, পারভেজ মোড়ল, হেলাল চৌধুরী, আসাদ সানা, এ আর রহমান, ইউনুচ শেখ, আলম হাওলাদার, মাসুদ পারভেজ, আসমত হোসেন, জামান চৌধুরী, শাহাআলম, আনোয়ার সরদার, শাহনেওয়াজ, সজল আকন, পিএম শহিদ, মারুফুর রহমান, কামরুজ্জামান সিরাজ, আবু দাউদ, সোহেল আকন্দ, আবুল বাশার, ঈশা শেখ, সিরাজুল ইসলাম বাবুল, সাইফুল ইসলাম, এস এম মাহমুদ, আজাদ ভুঁইয়া, মো. জামাল, রিপন হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, রমিজ খান, তৈয়েবুর রহমান তপু, সাইজউদ্দিন সাজু, নাসির হাওলাদার, খান মো. ফয়সাল প্রমুখ।