চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নোবেল প্রাইজ ঠেকানোর ‘ষড়যন্ত্র’ বলে সমালোচনার মুখে থাকা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সদের নোবেল পুরস্কার দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেছেন, চমেক হাসপাতালে প্রতিদিন ওয়ার্ড ও আউটডোর মিলে ৬-৭ হাজার রোগীকে সেবা দিতে হয়। এটা কি স্বাভাবিক বিষয়? যেসব ডাক্তার-নার্স এ সেবা দিচ্ছেন তাদের নোবেল পুরস্কার দেয়া উচিত বলে মনে করি।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) হৃদরোগ বিভাগের করোনারি কেয়ার ইউনিট ‘সিসিইউ-২’ উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন। চমেক হাসপাতাল হৃদরোগ বিভাগ ও রোগী কল্যাণ সমিতি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে সংবাদ প্রকাশের দাবি করে মেয়র বলেন, ‘ধারণার ওপর নির্ভর করে সংবাদ পরিবেশন করা অস্বাভাবিক। এর দ্বারা মানুষের কাছে ভুল মেসেজ যাচ্ছে। ডাক্তারদের ওপর চাপ তৈরি হয়। যদি শতভাগ নিশ্চিত হন তবে একজন নির্দিষ্ট ডাক্তারের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা যায়। ঢালাওভাবে সব ডাক্তারের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা উচিত নয়।’
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার সামর্থ্য আছে কতজনের? তিনি বলেন, বেশিরভাগ মানুষের এদেশের চিকিৎসকের ওপর নির্ভর করতে হয়। বড় খেলোয়াড়রা সব ম্যাচে ভালো খেলতে পারে না। কারণ স্নায়ুচাপ। একজন ডাক্তার যদি রোগীর সেবা দিতে গিয়ে চাপ অনুভব করেন তবে ভুল চিকিৎসা হতে পারে।’
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহসেন উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাসির উদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী, হৃদরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. প্রবীর কুমার দাশ, ডা. বাসনা মুহুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, রোগী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি ডা. তৈয়ব সিকদার, তাহের ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল বশর, পরিচালক মুনতাসির মামুন প্রমুখ।
এর আগে গত শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর-পতেঙ্গা এলাকার জনদুর্ভোগ নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় চসিক মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, ‘শান্তিতে নোবেল পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামটিও সক্রিয়ভাবে বিবেচনায় ছিল। যেদিন নোবেল কমিটি পুরস্কার ঘোষণার জন্য বসেছে, সেদিন কিন্তু এ কাজটি (আবরার হত্যা) হয়েছে। এখানে তো দুরভিসন্ধি থাকতে পারে। ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত থাকতে পারে, যাতে উনি (প্রধানমন্ত্রী) নোবেল প্রাইজটা না পান।’