চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ক্ষমতার বলয়ে উত্থান হয়েছে অন্ধকার জগতের কমপক্ষে ২০ ‘পাপিয়ার’। অন্ধকার জগতের এইসব সম্রাজ্ঞী ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাদের ঘনিষ্ঠজন পরিচয়ে চালিয়ে যাচ্ছে নান অনৈতিক কর্মকাণ্ড। তাদের নেতৃত্বেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্পটে চলে অসামাজিক কর্মকাণ্ড। তাদের ডেরায় বসে মদ জুয়ার আসর। রাতভর চলে অ্যারাবিয়ান স্টাইলে নাচের আসর।
অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রামের পাপিয়াদের বেপোরোয়া কর্মকান্ডের নেপথ্যে রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা। তাদের নেপথ্যে মদদে অন্ধকার জগতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে তারা। তাদের মধুকুঞ্জে একাধিকবার অভিযান চালিয়ে পুলিশ উচ্ছেদের চেষ্টা চালালেও থানা ও জেলা পর্যায়ের নেতাদের আশির্বাদে ফের বহাল হয়েছেন পাপিয়ারা।
প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় চট্টগ্রামে ‘পাপিয়াদের’ অসামাজিক কর্মকান্ড চালানোর বিষয়টি অবশ্য অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক। তিনি বলেন, আগে অভিযোগ পাওয়ার পর দুই একটি আস্তানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এ ধরনের কোনো রঙ্গশালার খবর আমাদের কাছে নেই। বিষয়টা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ২০ জনের উপরে অন্ধকার জগতের রানী রয়েছে। তাদের আসরে যোগ দেয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, প্রশাসনিক কর্তা, রাজনীতিবিদ, পুলিশ কর্তাসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। অভিযোগ রয়েছে এসব রঙ্গশালার মদদে রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও পুলিশের গুটিকয়েক অসাধু কর্মকর্তা। তাদের প্রত্যক্ষ মদদে এসব অন্ধকারের পাপিয়ারা অপ্রতিরোধ্য। এসব অন্ধকার জগতের ডনদের একজন রেখা।
মক্ষীরানী রেখা তার অসামাজিক ও মাদকের ডেরা গড়ে তুলেছেন সিএমপির খুলশী থানার পাশেই অভিজাত খুলশী এলাকার ৫নং রোডের ৮নং বাড়িতে । তার ডেরার প্রত্যক্ষ মদদে রয়েছে ‘দ’ আদ্যাক্ষরে স্থানীয় এক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ।
একইভাবে পাঁচলাইশ থানার অদূরেই ৬ নং রোডে রয়েছে মিম ও তার স্বামী কামরুজ্জামান সুমনের অসামাজিক ও মাদকের আস্তানা। কামরুজ্জামান সুমন নিজেকে চাঁদপুর জেলার এক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের নিকটাত্মীয় পরিচয় দেন। অভিযোগ রয়েছে মিমের এ অসামাজিক কর্মকাণ্ডের আয়ের একটি অংশ যায় পুলিশ সদস্যের পকেটেও।
হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের কাছে সুন্দরী নারী-তরুণী সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে একটি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেত্রী ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা লীগের এক নেত্রীর বিরুদ্ধেও। পাপিয়ার পর আলোচনায় আসে এ দুই নেত্রী। যার মধ্যে ঢাকার আলোচিত মহিলা লীগ বহিষ্কৃত নেত্রী পাপিয়ার সঙ্গে একজনের কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
চট্টগ্রামের অন্ধকার জগতের পাপিয়াদের মধ্যে অন্যরা হলো- পাঁচলাইশ থানা এলাকার শাহনাজ দিদি, হালিশহর থানার কথিত ক্যাশিয়ার শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী ডন মিনা, বন্দর থানা এলাকার রোজিনা আকতার ও তার স্বামী মোবাইল সোহেল, চকবাজার এলাকার খালপাড় এলাকার মাইকেল নাসরিন, আকবর শাহ থানা এলাকার মনি, কোতোয়ালি থানার কোরবানিগঞ্জের চাঁদপুরের সুমা ভাবি, ডবলমুরিং থানাধীন আগ্রাবাদ এলাকার রানী আকতার, নাজমা বেগম অন্যতম।