বাগেরহাটের চিতলমারীতে ননী গোপাল বিশ্বাস নামে এক ইউপি সদস্য ষষ্ট শ্রেণীর এক ছাত্রীকে হাত ও মুখ বেধে ধর্ষণ করেছে বলে ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে। এ ঘটনায় ভিকটিম লোক লজ্জার ভয়ে ঘরের আড়ায় ওড়না দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। বর্তমানে ওই ইউপি সদস্য পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ননী গোপাল বিশ্বাস রবিবার সকাল ১১ টায় ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে ওই ওয়ার্ডের এক ভোটারের বাড়িতে যান। এ সময় বাড়িতে কোন লোকজন না থাকায় ওই ছাত্রীকে কাছে ডেকে ওই ইউপি সদস্য একগ্লাস পানি আনতে বলেন। এ সময় মেয়েটি পানি নিয়ে কাছে আসলে লম্পট ইউপি সদস্য ননী গোপাল বিশ্বাস তাকে ঘরে আটকে হাত-মুখ বেধে উপর্যপুরি ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর ওই নাবালিকা লোক লজ্জার ভয়ে ঘরের আড়ায় ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করতে গেলে এ সময় তার মা বাড়িতে আসেন। তিনি মেয়ের মুখে ঘটনার বিবরণ শুনে পরিবারের অন্যদের জানালে তারা পুলিশকে খবর দেন। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ইউপি সদস্য ননী গোপাল বিশ্বাস পাঁচপাড়া গ্রামের রণজিত বিশ্বাসের ছেলে। ঘটনার সাথে জড়িত ননী গোপালের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করেছেন ভিকটিমের পরিবার ও এলাকাবাসি।
চিতলমারী থানার ওসি (তদন্ত) মো. ইকরাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে তিনি ভিকটিমের বাড়িতে ছুটে যান। ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য পাঠানো হবে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।