বাগেরহাটের চিতলমারীতে চিংড়ি ঘেরের পাড়া কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকাল ৮ টায় উপজেলার শিবপুর উত্তরপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এদেরমধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্খাজনক হওয়ায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়েছেন। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছি।
পুলিশ, হাসপাতাল ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শিবপুর উত্তরপাড়া গ্রামের সোনা মিয়া ও নূর মিয়ার মধ্যে জায়গা-জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার সকালে চিংড়ি ঘেরে পাড় কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে সোনা মিয়া পক্ষের শেখ সাদি (২৫) সোনা মিয়া শেখ (৭০), পেয়ারা বেগম (৪০), মোস্তফা শেখ (৫০), জোবায়ের শেখ (১৭), মাসুদ শেখ (৪৫) ও নজরুল শেখ (১৬) এবং নূর মিয়া পক্ষের মিরাজুল শেখ (২০), জিল্লু শেখ (৩০), ইউসুফ আলী শেখ (৭৫) ও শামীম শেখ (১৭) আহত হয়। এদের সকলকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
সোনা মিয়ার ছেলে মাসুদ শেখ বলেন, প্রতিবেশী হাসমত আলী খান ও নূর মিয়া শেখ আমাদের চিংড়ি ঘেরের পাড় কেটে মাছের ক্ষতিসাধন করলে আমরা বাধা দেই। এ সময় হাসমত ও নূর মিয়ার ২৫-৩০ জন লোক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মহিলাসহ আমাদের ৭ জনকে কুপিয়ে-পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এদেরমধ্যে মোস্তফা শেখ, নজরুল শেখ ও পেয়ারা বেগমের অবস্থা আশঙ্খাজনক হওয়ায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনাকের ধামাচাপা দিতে নূর মিয়ার লোকজন নিজেরাই আহত হওয়ার বাহানা করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
নূর মিয়া শেখের ভাই ইউসুফ আলী শেখ জানান, সোনা মিয়ার জমির মধ্যে তাদের ৪ বিঘা ক্রয়কৃত জমি রয়েছে। ওই জমি দখল করতে গেলে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়।
চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মামুন হাসান জানান, শিবপুরের সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের ১২ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।
এ ব্যাপারে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা শুনেই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।