বাগেরহাটের চিতলমারীতে এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে খাল খননের ফলে নালুয়া-বড়গুনি সড়কের কয়েক জায়গা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘ ৫ মাস জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন ওই এলাকার প্রায় ১৫ গ্রামের মানুষ। দীর্ঘদিন এ সড়কটি মেরামত না হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারিকে প্রায় ৩-৪ কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথে যাতায়ত করতে হচ্ছে। সম্প্রতি এলাকাবাসির দাবির প্রেক্ষিতে ১ নং বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ সর্দারের উদ্যোগ ভাঙন কবলিত রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার দুপুর ২ টায় সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর পাড়ে পাইলিং করে সড়কটি মেরামতের জন্য বালি ভরাট করা হচ্ছে। এ ছাড়াও ভাঙন কবলিত কয়েক জায়গায় ইটের সোলিং দিয়ে যান চলা-চলের উপযোগি করা হয়েছে।
এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ৫ মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৬/১ প্রজেক্টের আওয়তায় প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে চিতলমারী সদর বাজারের ত্রি-মোহনা থেকে বড়গুণি পর্যন্ত হক ক্যানেল পুনঃ খনন কাজের সময় নালুয়া-বড়গুণি রাস্তার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৪শ ফুট সড়ক নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। দীর্ঘদিন এই ভাঙন কবলিত স্থান মেরামত না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে রয়েছেন এলাকাবাসি। তারা আরো জানান, দীর্ঘদিন পরে হলেও বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ সর্দারের উদ্যোগের রাস্তাটি সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় এলাকাবাসি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এ ব্যাপারে বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ সর্দার জানান, এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিনে খাল কাটার কারণে নালুয়া-বড়গুনি সড়কের কয়েক জায়গার প্রায় ৪শ ফুট রাস্তা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। দীর্ঘদিন এ সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় তিনি এলাকাবাসির সুবিধার্থে নিজ উদ্যোগে সড়কের ভাঙন কবলিত স্থানে সংস্কার কাজ শুরু করেছেন। কয়েকদিনের মধ্যে আবার সড়কটি জন সাধারণের চলা-চলের উপযোগি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেণ।