খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলন হঠাৎ ঘটে যাওয়া কিছু নয়, এটা বিএনপির ১৬ বছরের আন্দোলনের ফসল। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে খুনি হাসিনা পালিয়ে গেলেও দেশে থাকা তার দোসররা এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য বিএনপি সব সময় প্রস্তুত আছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩ টায় ফুলবাড়ী গেট কুয়েট মোড় চত্বরে খানজাহান আলী থানা বিএনপির অর্ন্তগত যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন দুর্বার প্রতিরোধের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ চিরতরে নির্মূল করতে হবে। গত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে এসে দেশের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র রক্ষার জন্য, জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য, বাংলাদেশের মাটিতে একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের জীবন দিতে হয়েছে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. শফিকুল আলম মনা। সম্মেলন উদ্বোধন করেন খানজাহান আলী থানা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী মিজানুর রহমান। যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম জিয়া, মাসুদ পারভেজ বাবু, থানা বিএনপির সদস্য সচিব আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, শেখ আব্দুস সালাম, মোঃ এমদাদুল হক, শেখ সাদী, আতাউর রহমান মোড়ল, জাহিদুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন মিজান, জাহাঙ্গীর হোসেন খোকা, রফিকুল ইসলাম রফিক, মোঃ মশিউর রহমান, মিনা মুরাদ হোসেন, ফকির রবিউল ইসলাম, মোল্লা সোহরাব , হোসেন মোহাম্মদ শাহ আলম, আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ আজমল হোসেন, শেখ মিজানুর রহমান, শওকত হোসেন হিট্টু, মামুন মেম্বার, শাহাবুদ্দিন বুদ্ধি, মোস্তফা জামাল, শহিদুল ইসলাম সোহেল, মোহাম্মদ হেলাল শরীফ, রেশমি সুলতানা, সাম্মি চৌধুরী মলি, বিল্লাল হোসেন, মাসুম বিল্লাহ, হাবিবুর রহমান, মাসুম খান, মেহেদী হাসান বাপ্পি, আল মামুন জুয়েল, শাহাদাত হোসেন সাজু প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদে আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক পদে মীর শওকাত হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হোসেন কে নির্বাচিত ঘোষনা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বেগম রেহানা ঈসা।