করোনা উপসর্গ নিয়ে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় বাবার। অক্সিজেন সিলিন্ডার নিতে যাওয়ার সময় শহরের ইটাগাছা হাটের মোড়ে পুলিশ তার ছেলেকে দুই ঘণ্টা আটকে রাখে। এরই মধ্যে অক্সিজেনের অভাবে তার বাবার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেছেন ওলিউল ইসলাম। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক সুভাষ চন্দ্র শিকদারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটিও করা হয়েছে বলে জানান সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত রজব আলী মোড়লের বয়স ৬৫ বছর। বৃদ্ধের ছেলে ওলিউল ইসলাম জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তার বাবা। জরুরি অক্সিজেনের প্রয়োজন হওয়ায় তিনি সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার ব্যবসায়ী আল ফেরদৌস আলফার কাছ থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিতে তার বাড়িতে যাচ্ছিলেন।
লকডাউনে বের হওয়ার জন্য শহরের ইটাগাছা হাটের মোড়ে পৌঁছালে তাকে আটক করেন ইটাগাছা ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক সুভাষ চন্দ্র শিকদার।
ওলিউল জানান, লকডাউনে বের হওয়ায় তার কাছে এক হাজার টাকা দাবি করে পুলিশ। টাকা দিতে না পারায় তাকে দুই ঘণ্টা সেখানে বসিয়ে রাখা হয়।
তিনি বলেন, ‘পরে ইটাগাছা এলাকার জিয়াউল ইসলামের মধ্যস্থতায় ২০০ টাকা নিয়ে ওই পুলিশ কর্তা আমাকে ছেড়ে দেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। বাড়িতে গিয়ে দেখি অক্সিজেনের অভাবে আব্বা মারা গেছেন।’
ছেলের ভাষ্য, ‘যদি সময়মতো অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে বাড়িতে যেতে পারতাম তাহলে হয়তো আব্বাকে বাঁচানো যেত। আমি এর বিচার চাই।’
অভিযোগ অস্বীকার করে ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক সুভাষ চন্দ্র শিকদার বলেন, ‘বেপরোয়া গতিতে আসছিল মোটরসাইকেলটি। কাগজপত্রও ছিল না। পরে ঘটনা শুনে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। মাত্র ২-৩ মিনিট মোটরসাইকেলটি থামিয়ে রাখা হয়েছিল।’
এ ঘটনায় শুক্রবার (৯ জুলাই) অভিযুক্ত পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক সুভাষ চন্দ্র শিকদারকে প্রত্যাহার করা হয়।