চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ খুলনার তেরখাদা উপজেলার চাঞ্চল্যকর নাঈম শেখ (২৬) হত্যার দেড় মাস পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত বাবা পিরু শেখের (৫৫) মৃত্যু হয়েছে।সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।এর আগে ৭ আগস্ট রাত সাড়ে ৩টার দিকে তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদাহ ইউনিয়নের পহরডাঙ্গা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে নাঈম শেখ দুর্বৃত্তের হাতে নিহত হন। এ সময় গুরুতর আহত হন নাঈমের বাবা পিরু শেখ। আহত পিরুকে ঢাকাসহ খুলনা মেডিকেলে দীর্ঘ দেড় মাস চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় পরদিন ৮ আগস্ট নিহতের মা মাফুজা বেগম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে তেরখাদা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিচুর রহমান পিরু শেখের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘ দেড় মাস নাঈমের বাবা পিরু শেখকে ঢাকায় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এক পর্যায়ে পরিবারটি চিকিৎসা করাতে করাতে নিঃস্ব হয়ে আবার খুলনায় এসে পিরু শেখের চিকিৎসা করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। পিরুর মাথায় বড় ধরনের আঘাত ছিল বলেও জানান তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিচুর রহমান আরও জানান, ২০ আগস্ট নাঈম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থ জোগানের অভিযোগে ছাগলাদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম দ্বীন ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও বর্তমানে তিনি জামিনে বের হয়ে পলাতক রয়েছেন।