আধুনিক সিনেমায় চুম্বনদৃশ্য যেন অত্যাবশকীয় একটা উপাদান। কিন্তু ছেলে বরুণ ধাওয়ানের চুম্বনদৃশ্য কীভাবে ক্যামেরাবন্দি করেন তার বাবা তথা বলিউডের পরিচালক ডেভিড ধাওয়ান?
এ পর্যন্ত ছেলে বরুণ ধাওয়ানকে মূল চরিত্রে রেখে তিনটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন ডেভিড – ‘ম্যায় তেরা হিরো’, ‘জুদওয়া ২’ এবং সর্বশেষ ‘কুলি নাম্বার ওয়ান’।
এসব সিনেমায় ছেলের চুম্বনদৃশ্য ধারণ করতে তিনি কি বিব্রত হন না? কিংবা বাবার সামনে নায়িকাকে চুম্বন দিতে কি ছেলের লজ্জা লাগে না? এসব গতানুগতিক চিন্তাধারার একেবারেই বাইরে ডেভিড ধাওয়ান। জানালেন মোক্ষম জবাব।
নব্বইয়ের দশকে সবচেয়ে জনপ্রিয় নির্মাতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ডেভিড ধাওয়ান। রোমান্টিক-কমেডি সিনেমা নির্মাণে তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। ‘রাজা বাবু’, ‘সাজন চালে সাসুরাল’, ‘বাড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’ এবং আরও অনেক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। কিন্তু নতুন সহস্রাব্দে রোমান্সের সংজ্ঞা পাল্টে গেছে। এখন তো চুম্বনদৃশ্য না থাকলেই নয়। সৌভাগ্যক্রমে ডেভিডও আপডেট হয়েছেন তার নির্মাণে। তা সে নিজের ছেলেই হোক বা অন্য কেউ।
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে ডেভিডকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তার সিনেমায় ছেলে বরুণের চুম্বনদৃশ্য প্রসঙ্গে। তখন বিব্রত হন কিনা তিনি? তিনি জানান, এটা কোনও কঠিন কাজ নয়। যখন সিনেমা বানানোর কাজ চলে তখন বাবা-ছেলে সবাই খুব পেশাদারিত্বের পরিচয় দেন। তখন সম্পর্কটা শুধু বাবা-ছেলেতেই সীমাবদ্ধ থাকে না।
তিনি বলেন,এটা কঠিন কিছু নয়। আমরা খুবই পেশাদার মানুষ। যখন আমি তার সঙ্গে শুটিং করি, আমি তার দিকে তাকিয়ে থাকি না বা বলি না তার কী করা উচিত। আমি তাকে বলি, এই এই করতে হবে। কাহিনির প্রয়োজনে একটি একটি চুম্বন দৃশ্য থাকবে, সুতরাং আমাদের তা করতে হবে। নির্দিষ্টভাবে, এখানে ভুল কিছু নেই। ভারতীয় সিনেমায় এখন চুম্বনদৃশ্য তো সবচেয়ে হালকা একটি দৃশ্য। যখন আপনি পেশাদারিত্বের সঙ্গে এটা করছেন তখন এটা একেবারেই নির্দোষ।
‘আরে আমার ছেলে এটা করছে! আমার খুব লজ্জা লাগছে। কীসের লজ্জা? এটা খুবই বাস্তববাদী সময়। এখন নায়ক ও নায়িকা এটা কীভাবে করবে তা নিতান্তই তাদের ওপরই নির্ভর করে,’ বলিউড হাঙ্গামাকে এমনটাই বলেন ডেভিড ধাওয়ান।