খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের মাধ্যমে আমাদের প্রথম ধাপের বিজয় হয়েছে। তবে পরিপূর্ণ বিজয় না আসা পর্যন্ত নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত ভাবে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। রাষ্ট্রের ভালোমন্দ রাজনীতিবিদরাই ভালো জানেন। অন্তবর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ কথিত সংস্কারের নামে সময় ক্ষেপণ না করে নির্বাচনের পথ তৈরি করুন। নির্বাচন কবে হবে দেশের জনগণ তার সুস্পষ্ট তারিখ জানতে চায়। বিগত ১৬ বছর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে ছিলাম সুষ্ট ভোটের মাধ্যমে জনগনের সরকার নির্বাচিত করার জন্য।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছিল শুধু কোটা বিরোধী আন্দোলন। ফ্যাসিবাদের ভয়াল থাবায় যখন ছাত্রদের আন্দোলন প্রায় থমকে গিয়েছিল, ঠিক সেই মুহুর্তেই জাতির কান্ডারির ভূমিকায় আন্দোলনকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রূপ দিয়েছিলেন তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) খুলনা সদর থানার বিএনপির অর্ন্তগত ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের মানুষ ফ্যাসিস্ট সরকার থেকে মুক্তি চেয়েছিল। তবে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের রক্তে ভেজা বিপ্লবকে সফল বলা যাবে না। এজন্য জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের সর্তক, সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিএনপি চায় ছাত্র-জনতার রক্তে ভেজা অর্ন্তবরতিকালিন সরকার সাফল্য অর্জন করুক, সরকারের সাফল্য মানে বিএনপির সাফল্য। ইউনুস সরকার ব্যর্থ হলে আমরা ব্যর্থ হবো।
ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম লিটনের সভাপতিত্বে বিকাল ৪টায় স্থানীয় করনোশন কারিগরি বিদ্যা নিকেতনে অনুষ্ঠিত দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের বিশেষ অতিথি ছিলেন চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, থানা বিএনপির আহবায়ক কে এম হুমায়ুন কবীর সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। সম্মেলনে বিশেষ বক্তা ছিলেন সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব মোল্লা ফরিদ আহমেদ। বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি পদে এস এম নুরুল আলম দিপু, সাধারণ সম্পাদক পদে জুয়েল খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মফিজুল সরদারকে নির্বাচিত ঘোষনা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক রেহানা ঈসা।