মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, আওয়ামী দোসরদের অন্যায়, অপশাসন, চাঁদাবাজি, দখলতারিত্ব প্রতিরোধে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণের পাশে থাকবে। কোনো চাঁদাবাজ, দখলদারদের ছাড় দেয়া হবে না, অতীতে যারা অন্যায়, অপশাসন, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব করেছে তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই হবে। আজ বা আগামীতে যারাই একই পথে হাঁটবে তাদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, বাংলার মানুষ আর কোনো অপশক্তিকে ছাড় দিবে না। শোষিত মানুষ আজ প্রতিবাদী এবং বিদ্রোহী উল্লেখ করে তুহিন বলেন, সাধু সাবধান! জনগণ আর কোনো স্বৈরতন্ত্রকে ছাড় দিবে না। জনগণের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে বিএনপি সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে প্রস্তুত রয়েছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দেয়ানা উত্তরপাড়া ঈদগাহ প্রাঙ্গনে দৌলতপুর থানার অর্ন্তগত ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যেগে সুধী সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তুহিন বলেন, জুলাই গণহত্যায়’ সমগ্র বাংলাদেশে শহীদ হয়েছেন ৮৭৫ জন। যার মধ্যে কমপক্ষে ৪২২ জন বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের জনগণকে বারবার ত্যাগ শিকার করতে হয়েছে, রক্ত দিতে হয়েছে। এ দেশের স্বাধীনতাকে যখনই গ্রাস করেছে স্বৈরতন্ত্র, প্রতিবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। বাকশালের পর বহুদলীয় গণতন্ত্র ও স্বৈরশাসনের পর সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। সেই ধারাবাহিকতায় ১৬ বছরের স্বৈরাচারী দুঃশাসনকে চূর্ণ করে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের জনগণ আবারো মুক্তির স্বাদ পায়, গণতন্ত্রের পথ সুগম করে। অসংখ্য ব্যক্তি ও পরিবার রয়েছে, যাদের বছরের পর বছর ধরে ত্যাগের মহিমায় আমরা ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি।
৪নং ওয়ার্ড বিএনপি’র আহবায়ক মো. লিয়াকত হোসেন লাভলুর সভাপতিত্বে ও মোল্লা সোহেল-ফকির আমিন শাহ আরমানের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন শেখ সাদী, মুর্শিদ কামাল, শেখ ইমাম হোসেন, রুবায়েত হোসেন বাবু, সাইফুল ইসলাম মামুন, মতলেবুর রহমান মিতুল, শেখ আরমান হোসেন, সামদানি মোল্লা, অধ্যা. জয়নাল আবেদীন, খান জাহাঙ্গীর, ইঞ্জিনিয়ার নুর ইসলাম বাচ্চু, আহবায়ক কবির হোসেন, আব্দুল ওহাব, জাহিদ হোসেন খশরু, কামরুল ইসলাম বাচ্চু, মো. এরশাদ হোসেন ডাবলু, শেখ আনছার আলী, আধ্যাপিকা লুৎফুন্নাহার মুক্তা, শেখ আনোয়ার কামাল, মো. কবির হোসেন, মো. মনির হোসেন, এম এম জসিম, শেখ নাজিম, মহিদুল ইসলাম, আলামিন সরদার রতন, মিজানুর রহমান মৃদুল, মো. মাফিজুর রহমান, শেখ খালিদ বিন ওয়ালিদ শোভনসকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।