মাগুরার শালিখা উপজেলার কাতলী গ্রামে অন্যের জমি জোর পূর্বক দখলে ব্যার্থ হয়ে জমির মুল মালিকের বিরুদ্ধেই আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করছে মনিরুজ্জামান (মনু) মিয়া নামের এক ভুমি দস্যু বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
লিখিত অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আমীর আলী জানান, মনিরুজ্জামান মনু মিয়া গংদের অত্যাচার ও জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়ে দীর্ঘ ২৫ বছর পূর্বে গ্রাম ছেড়ে মাগুরা শহরে চলে যেতে বাধ্য হন। গ্রামে পৈত্রিক ও ক্রয়সুত্রে কিছু জমি থাকায় সেই জুলুম নির্যাতন থেকে মুক্তি মেলেনি। প্রায়ই তারা জমি দখল করে নেয়ার হুমকি দেন। বাধা দিলে বা আইনের আশ্রয় নিলে খুন করে ফেলবে বলেও দেয়া হয় হুমকি। ইতি পূর্বে গ্রামের জমিজমা দেখতে গেলে আক্রমনের চেষ্টাও করেছে তারা। যার ফলে শালিখা থানায় সাধারন ডায়রি করা আছে।
ছয় ঘরিয়া জুনারী সড়কের কাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যায় সংলগ্ন রাস্তার সাথে ১২ শতক জমি রয়েছে যা আমি দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছি। আমার জমির দক্ষীন পার্শ্বে মনু মিয়ার ৯ শতক জমি থাকলেও জমিতে প্রবেশের কোন রাস্তা না থাকায় রাস্তার জন্য আমার নিকট থেকে কিছু জমি দাবি করে। আমি সরল বিশ্বাসে আমার ভোগ দখলীয় ১২ শতক জমির পূর্ব পার্শ্ব হইতে ৪ শতক জমি দলিল করে দিই। বাজার মুল্যে জমির দাম দেয়ার কথা থাকলেও জমি দলিল হওয়ার পর মনু মিয়া সমুদয় টাকা পরিশোধ করেনি। পাওনা টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে।
আমি স্বপরিবারে মাগুরায় বসবাস করায় বিভিন্ন সময় আমার বর্গাদারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করে। গত ৮ জানুয়ারী সকালে মনিরুজ্জামান মনু মিয়াসহ সবুর, মহিন, জাকির ও কামরুল মিলে আমার বাকী ৮ শতক জমি দখল করার চেষ্টা করে। বর্গাদারদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে মাগুরা থেকে গ্রামে এসে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদেও সহযোগিতায় ও সংবাদ পেয়ে শালিখা থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছালে জমি দখল করতে আসা ব্যাক্তিরা পালিয়ে যায়। পরে কয়েক জন দিন মজুর কে নিয়ে আমি আমার জমি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রেখে মাগুরায় ফিরে এসে আমার ছেলে মাসুম বিল্লাহ কে বাদি করে ১৪৪/১৪৫ ধারায় আদালতে মামলা করি।
১০ ফেব্রুয়ারী শালিখা থানার সাব ইন্সেপেক্টর ইমরান হোসেন তদন্তে করতে আসলে জানতে পারি ভুমি দস্যূ মনিরুজ্জামান মনু মিয়া বাদি হয়ে দ্রুত বিচার আইনে আমিসহ ও ৮ জানুয়ারী যাদের কে শ্রমিক হিসাবে কাজে নিয়েছিলাম তাদেরকেও আসামী করে মামলা করেছে। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য শালিখা থানাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, এ ব্যাপারে মনিরুজ্জামানের বড় ভাই আবু সাইদ ঠান্ডু জানান, আমীর আলী কাকার জমির দক্ষীনে আমার ছোট ভাই মনু মিয়ার অল্প কিছু জমি থাকলেও জমিতে প্রবেশের কোন পথ ছিল না। আমাদের সকলের অনুরোধে আমীর আলী কাকা ছোট ভাই মনু মিয়ার জমিতে যাতায়তের জন্য ৪ শতক জমি দেন। আমীর আলী কাকার দেয়া ৪ শতক জমিতে আমার ছোট ভাই বাড়ি নির্মান করে কাকার বাকী ৮ শতক জমি এখন জোর পূর্বক দখল করার ষড়যন্ত্র করছে যা অন্যায়।
আনোয়ার মজুমদার জানান, আমীর আলী মাষ্টার ২৫/২৬ বছর গ্রাম ছেড়ে মাগুরায় চেলে গেছেন। তার কিছু জমি আমি ৫ বছর ধরে বর্গা চাষ করি। এর আগে আমার মামাতো ভাই লাভলু ও রাজ্জাক ঢালী প্রায় ১৫ বছর চাষাবাদ করতো। গ্রামে না থাকার জন্য মনু মিয়া ও কামরুলরা প্রায় আমীর আলী কাকার জমি দখল করার জন্য হুমকি দেয়।
তবে এ ব্যাপারে মনিরুজ্জামানের মুঠোফোনে আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি পিলাউড মিলে ডিউটিতে রয়েছেন এখন কথা বলতে পারবো না বলে সংযোগ বিছিন্ন করে মোবাইল সেট বন্ধ করে দেন।