বাগেরহাটের শরণখোলার রায়েন্দা ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বড়-মাছুয়ার মধ্যবর্তী প্রমত্তা বলেশ্বর নদে ফেরী চালুর দাবী দীর্ঘদিনের। সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাস্তবে পরিনত হবার অপেক্ষার প্রহর গুনছে দুই পাড়ের মানুষ।
১০ নভেম্বর বুধবার বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা – মোড়েলগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন ও পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনের সংসদ সদস্য ডাক্তার রুস্তুম আলী ফরাজী যৌথভাবে এর আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন করবেন।
নদীর দুইপাড়ে ফেরী ঘাটের পল্টুন স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে এছাড়া সংযোগ সড়ক নির্মানের কাজ শেষের পথে। ফেরিটি চালু হলে খুলনা, বাগেরহাট, মংলা বরিশাল, পিরোজপুর, পটুয়াখালী সহ পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা, পাথঘাটার হরিনঘাটা ও বিহঙ্গ দ্বীপের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। এমনকি মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরের মধ্যে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরত্ব কমে আসবে।
পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সভাপতি ও পৌর কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল জানান, রায়েন্দা-মাছুয়া ফেরিটি চালু হলে পাথরঘাটার খুলনা-বাগেরহাটের সাথে বানিজের প্রসার ঘটবে ও মাছ রপ্তানীর ক্ষেত্রে মংলা বন্দরের সাথে যোগাযোগ সহজ ও পরিবহন খরচ অনেকটা কমে আসবে।
রায়েন্দা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ রুমী জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল বলেশ^রের দুই পাড়ের মানুষকে নদী পার হতে হয় তাই এখানে ফেরী চালুর দাবী দীর্ঘদিনের। জনদূর্ভোগ লাঘব করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাত জানান, ফেরীটি চালু হলে রায়েন্দা-বড় মাছুয়া জনপদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হবার পাশাপাশি জনগনের দীর্ঘদিনে চাওয়া উপন্নীত হবে।
শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন আকন (শান্ত) জানান, জনগনের দীর্ঘদিনের দাবী বাস্তবে পরিনত হয়েছে। বলেশ্বর নদীতে ফেরী চালু হলে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরীর পাশাপাশি দক্ষিনাঞ্চলের অর্থনৈতিক ও বানিজ্যের প্রসার ঘটবে।