চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃমুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জানুয়ারি মাসেই মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন তালিকা প্রকাশ করা হবে। সে লক্ষে ওয়েবসাইটে রক্ষিত পুরনো তালিকা স্থগিত করা হবে। অমুক্তিযোদ্ধাদের নাম যাচাই-বাছাই করে সেগুলো বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আপত্তি যাচাই-বাছাই শেষে আগামী ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের আইডি কার্ড দেয়া হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের আধুনিক কার্ড দেয়া হবে, যাতে কেউ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিয়ে জালিয়াতি করতে না পারে। তিনি ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি করে পাসপোর্ট সাইজের ছবি স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দেয়ার আহ্বান জানান।
গতকাল শনিবার দুপুরে যশোর সদর উপজেলার খাজুরায় মিত্র ও মুক্তিবাহিনীর শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি, সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, মুক্তিযোদ্ধা রাজেক আহমেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে যশোর মুক্ত দিবসের পরদিন ৭ ডিসেম্বর সকালে খাজুরায় রাজাকারদের সঙ্গে মিত্র ও মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধ হয়। সেদিন রাজাকাররা মিত্রবাহিনীর ছয় জনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে এবং একজন আহত হন। পরে মিত্রবাহিনী রাজাকারদের ক্যাম্প ধ্বংস করে এবং তাদের প্রত্যেককে হত্যা করে। ঠিক এই স্থানেই নির্মাণ করা হয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ’।
মণিরামপুর : বিকেলে মণিরামপুর পৌর এলাকায় নব-নির্মিত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক এমপি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মণিরামপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ লক্ষ টাকার রিভলভিং ফান্ড রয়েছে। অথচ তিনি অভিযোগ পেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গেলে ডাক্তাররা ওষুধ না দিয়ে প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দেন। তিনি মণিরামপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের জন্য বরাদ্দ সরকারের উক্ত টাকার খোঁজ-খবর নিতে হাসপাতালে যেতে হবে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খয়রাত হোসেন, পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা রাজেক আহম্মেদও এমএম নজরুল ইসলাম। আলোচনা সভা শেষে নেতৃবৃন্দ ১৯৫৪ সালে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত স্থান মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকার নিমতলা পরিদর্শন করেন।