খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির ফেব্রুয়ারি মাসের সভা আজ (রবিবার) সকালে জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষ থেকে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পুলিশ সুপার মোঃ মাহবুব হাসান বলেন, বর্তমানে অপরাধ সংঘটনের পেছনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব দেখা যাচ্ছে। খুলনার সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে অপমৃত্যু প্রতিরোধে সবাইকে আরও সজাগ হতে হবে।
মহিলা বিষয়ক দপ্তরের উপপরিচালক হাসনা হেনা জানান, গতমাসে জেলায় পাঁচটি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা হয়েছে। সচেতনতা বৃদ্ধি ও আত্মহত্যার প্রবণতা হ্রাস করতে উঠান বৈঠক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক একেএম ফজলুর রহমান জানান, মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মাস্ক পরিধানের বিষয়ে তার দপ্তর থেকে প্রতি সপ্তাহে ইমামদের নিদের্শনা দেয়া হচ্ছে।
সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় ব্যক্তিদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। পরিবেশ ও কৃষির স্বার্থে উপকূলীয় এলাকায় বেডিবাঁধ কেটে লবণ পানি প্রবেশ করানোর সুযোগ নেই। এরূপ কাজের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। করোনার প্রকোপ কিছুটা কমলেও বিষয়টিকে হালকাভাবে নেয়া ঠিক হবে না। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং টিকা গ্রহণ করতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুলক কুমার ম-ল সভায় বিগত মাসে খুলনা জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। এসময় জানানো হয়, খুলনা জেলা অধিক্ষেত্রে বিগত জানুয়ারি মাসে ১৩৬ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে যা বিগত ডিসেম্বর মাসে জেলায় দায়ের হওয়া মামলা থেকে ৫টি কম। খুলনা মহানগরী অধিক্ষেত্রে জানুয়ারি মাসে ১৫৭ টি মামলা দায়ের হয়েছে যা বিগত ডিসেম্বর মাসে দায়ের হওয়া মামলা হতে ১৬টি বেশি।
সভায় জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।