চ্যানেল খুুলনা ডেস্কঃ আলোচিত যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। এ কারণে তৃতীয় দিনের রিমান্ড স্থগিত করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাই পাপিয়াকে আপাতত আর জিজ্ঞাসাবাদ করছে না র্যাব। বর্তমানে তিনি কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।
বুধবার (১ এপ্রিল) র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফি উল্লাহ বুলবুল বলেন, পরিস্থিতি ভালো হলে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। করোনাভাইরাসের মধ্যেই তার দ্বিতীয় দফার রিমান্ড চলছিল। কিন্তু তার জ্বর থাকায় আপাতত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না।
এই কর্মকর্তা বলেন, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা সেটা পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে পরীক্ষায় নেগেটিভ রেজাল্ট এসেছে। তার রিমান্ডের তৃতীয় দিন থেকেই জ্বর। এ জন্য তাকে কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পরিপস্থিতি ভালো হলে তাকে পরে আবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হবে।
জানা যায়, আদালতে র্যাবের পক্ষ থেকে কয়েকদিন আগে পাপিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করা হয়েছিল। বিচারক আবেদন মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত ২০ মার্চ তাকে কারাগারে পাঠানোর এই নির্দেশ আসে বলে জানা গেছে। এরপর তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
এরআগে তিন মামলায় গত ১১ মার্চ পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে ৫ দিন করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পায় র্যাব। তার আগে প্রথম দফায় পুলিশ ১৫ দিন করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পায়।
পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিমানবন্দরে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুই সহযোগীসহ র্যাবের হাতে আটক হন। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান রুপি ও সাতটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
এর আগে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বুকিং দেওয়া বিলাসবহুল প্রেসিডেনশিয়াল স্যুট রুম এবং রাজধানীর ফার্মগেটে ইন্দিরা রোডে গত ২২ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার বাসায় র্যাবের অভিযানে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ডসহ গ্রেপ্তার করা হয়।