করোনার টিকা নেওয়ার পর এ পর্যন্ত ৭৭৩ জনের দেহে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (যেমন : জ্বর, টিকা দেওয়া স্থানে লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি) দেখা গেছে। মঙ্গলবার (২ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া টিকা কর্মসূচিতে এখন পর্যন্ত ৩৩ লাখ ৪১ হাজার ৫০৫ জন টিকা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ৭৭৩ জনের দেহে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট এক লাখ ১৪ হাজার ৬৮০ জন টিকা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬৮ হাজার ৫৩৯ জন পুরুষ ও ৪৬ হাজার ১৪১ জন নারী। এদিন টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে ১৯ জন বিরূপ প্রতিক্রিয়ার রিপোর্ট করেছেন।
এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে ১০ লাখ ২৭ হাজার ৮১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে এক লাখ ৪২ হাজার ২৯৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে সাত লাখ ২৬ হাজার ৬৯ জন, রাজশাহী বিভাগে তিন লাখ ৬৬ হাজার ২২৯ জন, রংপুর বিভাগে তিন লাখ ৩ হাজার ৭৮০ জন, খুলনা বিভাগে চার লাখ ১৭ হাজার ৪৭৬ জন, বরিশাল বিভাগে এক লাখ ৫৬ হাজার ২৩৭ জন ও সিলেট বিভাগে দুই লাখ এক হাজার ৭৩৫ জন টিকা নিয়েছেন।
বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উপসর্গ নিয়ে রিপোর্টকারী ৭৩৩ জনের মধ্যে মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৫৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৭৭ জন, রংপুর বিভাগে ৬৬ জন, খুলনা বিভাগে ৯৮ জন, বরিশাল বিভাগে ২৫ জন ও সিলেট বিভাগে ৩৫ জন রয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সারাদেশে টিকা নেওয়ার জন্য মোট ৪৩ লাখ ১১ হাজার ৭০৮ জন নিবন্ধন করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথমদিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে। দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়। আর ৭ ফেব্রুয়ারি ব্যাপক হারে সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতাল ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালসহ সারাদেশে মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম চলবে। রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে দুই হাজার ১৯৬টি টিম কাজ করবে। মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪০০টিম কাজ করবে।