যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার খালেদুর রহমান টিটো (২৮) হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি জহুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দীন গ্রেফতারের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন। তবে কখন ও কীভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা তিনি বিস্তারিত জানায়নি।
এর আগে, গত ১০ ডিসেম্বর নিহত টিটোর ভাই বেতালপাড়া গ্রামের বদর উদ্দীন বাদী হয়ে জহুরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দীলু পাটোয়ারী ও তার ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ পাটোয়ারীসহ ১৭ জনের নামে বাঘারপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০-৩০ জনকে আসামী করা হয়।
এদিন মামলার ছয় নম্বর আসামি বাবুকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। সম্প্রতি মামলার প্রধান আসামি দীলু পাটোয়ারী উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। অন্য আসামিরা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
জানা যায়, বুধবার (০৯ ডিসেম্বর) রাতে নৌকা প্রতীকের কর্মী খালেদুর রহমান টিটো বাড়ির রান্নার জন্য তেল কিনতে হিংগারপাড়া-বেতালপাড়া গ্রামের সীমান্তে কালাম সর্দারের দোকানে যাচ্ছিলেন। এ সময় রাস্তায় থাকা সংঘবদ্ধ আনারস প্রতীকের কর্মীরা তার উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে আহত করে। গুরুত্বর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। পথিমধ্যে পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে দশটার দিকে নবীনগরে পৌঁছালে অ্যাম্বুলেন্সেই টিটোর মৃত্যু হয়।
নিহত টিটোর চাচা সাবেক ইউপি সদস্য ইন্তাজ মোল্যা অভিযোগ করে বলেন, আনারস প্রতীকের প্রার্থী জহুরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক নুর মোহাম্মদ পাটোয়ারীর নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়।
গত ১০ ডিসেম্বর বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান কাজলের স্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নৌকার প্রতীকের ভিক্টোরিয়া পারভীন সাথী বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।