চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখুলনায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির ট্রাক সেলের সংখ্যা, বরাদ্দ কমানোর পাশাপাশি কমেছে ক্রেতা। একসময় ক্রেতা সামলানোর জন্য হিমশিম খেতে হলেও বর্তমানে আগের পরিবেশ নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, জনগণের মাঝে নায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয় ১৭ মার্চ থেকে শুরু করে এখনও চালু রেখেছে টিসিবি। প্রথমে ১৮টি ট্রাক সেলের মাধ্যমে খুলনায় ডাল, চিন, তেল ও পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করা হয়। পরবর্তীতে ট্রাক সেলের সংখ্যা বৃদ্ধি করে জেলার প্রতিটি উপজেলার পাশাপাশি খুলনা মহানগরীতে ২০টি ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হয়। সে সময় প্রতিটি ট্রাকে দেড় হাজার লিটার সয়াবিন তেল, এক হাজার কেজি চিনি ও ২০০ কেজি মশুর ডাল বিক্রির জন্য বরাদ্দ করা হয়। ডাল ও চিনি কেজি প্রতি ৫০ টাকা এবং সয়াবিন তেল এক লিটার ৮০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। বর্তমানে পণ্যের দাম একই থাকলেও কমানো হয়েছে বরাদ্দ এবং ট্রাক সেলের সংখ্যা। প্রতিটি ট্রাকে দেড় হাজার লিটার তেলের পরিবর্তে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ১ হাজার ২০০ লিটার তেল, চিনি বরাদ্দের পরিমাণ কমিয়ে করা হয়েছে ৫০০ কেজি। যা আগের তুলনায় অর্ধেক। বরাদ্দের পরিমাণ ঠিক রাখা হয়েছে মশুর ডালের ক্ষেত্রে। বরাদ্দ কমানো হলেও মহানগর ও উপজেলা পর্যায়ে বিক্রি অব্যাহত রাখা হয়েছে। বিক্রি অব্যাহত থাকলেও ক্রেতা সমাগম নেই আগের মতো। আগে যেখানে পুলিশি নিয়ন্ত্রণে বিক্রি করা হতো পণ্য কিন্তু বর্তমান খুব বেশি ভীড় না থাকায় নিজেরাই সামলান বিক্রেতারা।
মহানগরীর শিববাড়ি এলাকায় টিসিবি’র পণ্য কিনতে আসা রাজন মন্ডল বলেন, এখন আগের মতোন টিসিবির পণ্যে আগ্রহ দেখা যায় না। আগে এই পণ্যের জন্য ভোর থেকে ইট দিয়ে লাইন দিলেও এখন তা হয় না।
ময়লাপোতা মোড়ে টিসিবি’র পণ্য কিনতে আসা হাফিজা খাতুন বলেন, টিসিবি’র পণ্য এখন খুব সহজেই কেনা যায়। এখন খুব বেশি ভীড় হয় না।
টিসিবি পণ্য বিক্রেতা আবিদ হোসেন বলেন, এখন বরাদ্দও যেমন কমেছে তেমনি কমেছে ক্রেতাও। খুব বেশি ঝামেলা পোহাতে হয় না।
টিসিবি আঞ্চলিক অফিস প্রধান রবিউল মোর্শেদ বলেন, টিসিবি’র পণ্য বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে মহানগরীতে ৫টি ট্রাক সেলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হয়। এছাড়া উপজেলা পর্যায়েও ধারাবাহিকভাবে বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রেতারা আগের তুলনায় কিছুা কমেছে বলেও জানান তিনি।