ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান। মূলত হোটেল ও রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি। তবে তার সম্পদের পরিমাণ কত-এ ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য নেই।
ট্রাম্পের দাবি, বিশ্বজুড়ে তার থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মোট মূল্যমান ১০ বিলিয়ন ডলার হবে।
ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত জার্মান পত্রিকা ‘হান্ডেলসব্লাট’-এর বিবরণ অনুযায়ী, ২৫টি দেশের ৫০০ কোম্পানিতে ট্রাম্পের শেয়ার আছে। এসব কোম্পানির কার্যকলাপ, আয়-ব্যয় বা মুনাফা সম্পর্কে প্রায় কিছু জানা নেই।
২৫টি দেশে ট্রাম্পের ১৪৪টি কোম্পানি আছে, বলে সিএনএন দাবি করে থাকে। ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার খবর অনুযায়ী ট্রাম্পের অন্তত ১৮টি দেশে ১১১টি কোম্পানি আছে।
ট্রাম্পের সাম্রাজ্য হলো ‘দ্য ট্রাম্প অর্গানাইজেশন’, যা তিনি তার বাবার কাছ থেকে পেয়েছেন। ১৯৭১ সাল যাবৎ তিনি এই কোম্পানিটির দায়িত্বে। সারা বিশ্বে এই কোম্পানির বড় বড় প্রপার্টি আছে, যেমন নিউইয়র্কে ৪০ নম্বর ওয়াল স্ট্রিট, ভ্যানকুভারে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড টাওয়ার বা (ছবিতে) লাস ভেগাসের ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল।
ফোর্বস পত্রিকা জানিয়েছে, ট্রাম্পের সম্পদ চারটি বহুতল ভবনেই সবচেয়ে বেশি। নিউইয়র্কে ট্রাম্পের দু’টি অফিস ভবন আছে, এছাড়া তিনি ফিফ্থ অ্যাভিনিউ-এর ট্রাম্প টাওয়ারের অংশীদার। সান ফ্রান্সিস্কোতেও তার একটি বহুতল ভবন আছে। এই চারটি বহুমূল্য স্থাবর সম্পত্তি ট্রাম্পের সম্পদের মোট ৪০ শতাংশ, বলে ফোর্বস-এর ধারণা। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাত মিলিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প মোট ১৭টি গল্ফ কোর্সের মালিক।
২০১৬ সালের মে মাসে ট্রাম্প বলেন যে, এই গল্ফ কোর্সগুলি থেকে তার বছরে ৩০ কোটি ডলারের বেশি আয় হয়।