খুলনা রিজিওনাল শাখার আওতাধীন ডাচ-বাংলা ব্যাংক (এজেন্ট মুন মানহা) আড়ংঘাটা শাখা কর্তৃক গ্রাহকের টাকা লোপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে ভূক্তভোগী গ্রাহকের পক্ষে ১ মে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মোঃ কামাল হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তবে জানানো হয়, গত ০৬/০২/২০২৩ ইং তারিখে হঠাৎ পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই ব্যাংকটি বন্ধ দেখা যায় এবং গ্রাহকরা তাদের লেন-দেন করতে গিয়ে করতে গিয়ে এ বিষয়ে অবগত হয়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে গ্রাহকগন লিখিতভাবে খুলনা রিজিওনাল শাখাকে অবগত করে এবং টাকা লোপাটের বিষয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে কয়েকটি পত্রিকা ও চ্যানেলে সংবাদ প্রচার করা হয়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের কি পরিমান টাকা খোয়া গেছে সেটা ডাচ-বাংলা ব্যাংক হেডঅফিস ঢাকার প্রতিনিধিগন রিজিওনাল শাখার মারফত গত ২০/০২/২০২৩ইং তারিখে খুলনা অফিসে গ্রাহকদের সাথে সরাসরি কথা বলেন এবং তাদের নিকট সংরক্ষিত কাগজপত্র যাচাই বাছাই করেন ও গ্রাহকদের লোপাট হওয়া আনুমানিক ১ কোটি টাকা অতিদ্রুত ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন একই সাথে খুলনা রিজিওনাল শাখাকে টাকা ফেরতের বিষয়ে নির্দেশনা দেন। উক্ত নির্দেশনার আলোকে খুলনা রিজিওনাল শাখার সিনিয়র ম্যানেজার এ এইচ এম কামরুজ্জামান কয়েক দফা ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের সাথে বৈঠক করেন ও মৌখিক সময় নেন। সর্বশেষ গত ১১/০৩/২০১৩ইং তারিখে ডাচ-বাংলা ব্যাংক (এজেন্ট মুন মানহা) এর সত্ত্বাধিকারী মো: সোহেল মাহমুদ ও কর্মকর্তা মো: হান্নান এর সহিত আর.এম এ এইচ এম কামরুজ্জামান আলোচনা করে টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ৩০০ টাকা সমমানের তিনটি স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে লোপাটকৃত টাকার স্বীকারোক্তি ও ১১/০৪/২০১৩ইং তারিখের মধ্যে সমুদয় টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়। গত ১১/০৪/২০১৩ইং তারিখে টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে আর.এম এ এইচ এম কামরুজ্জামান রিজিওনাল শাখা নিরালা, খুলনাতে কয়েকজন গ্রাহককে ডেকে টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন প্রকার টালবাহানা শুরু করেন। তিনি বলেন যে, “এ বিষয়ে তিনি দায়বদ্ধ নন”। পরবর্তীতে গ্রাহকগনের পক্ষ থেকে আমি মো: কামাল হোসেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি করলে আর.এম এ এইচ এম কামরুজ্জামান আমাকে ফোন দিয়ে বলেন “আপনি তো সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করছেন এটা করে কি আপনি টাকা ফেরত পাবেন, যদি পারেন তো টাকা ফেরত নিয়েন আমার এ বিষয়ে কোন দায় নেই”। যার অডিও রেকর্ড আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। অদ্যবধি প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ৬০/৬৫ জন গ্রাহক উক্ত শাখা কর্তৃক সর্বস্ব খুইয়ে দুর্বিসহ ভাবে জীবন যাপন করছে।
উপরোক্ত বিষয়টি বিশ্লেষন পূর্বক ডাচ-বাংলা ব্যাংক (এজেন্ট মুন-মানহা) আড়ংঘাটা শাখা কর্তৃক লোপাট হওয়া সমুদয় টাকা দ্রুততম সময়ের মধ্যে যাতে পাওয়ার দাবি জানানো হয়। ডাচ বাংলা ব্যাংক খুলনার রিজিওনাল ম্যানেজার কামরুজ্জামান বলেন, মিডিয়ায় আমাদের কথা বলা নিষেধ রয়েছে। প্রধান কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলতে পারবেন।