ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার পর পরই যেন সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা না হয় সে বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে বলেছেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য জানান তিনি।
আনিসুল হক বলেন, আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা হলেই যাতে তাৎক্ষণিক ধরা না হয়, বিষয়টি তাকে বলা হয়েছে, এতে তিনিও সায় দিয়েছেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে আমরা কঠোর হচ্ছি। যারা ভবিষ্যতে এর অপব্যবহার করবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাক-স্বাধীনতা বা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের জন্য এ আইন করা হয়নি বলেও জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, এই আইনে মামলা নেওয়া হবে কি না, সেটা এর আগে যাচাই করতে হবে। সন্তুষ্ট হলে পরে মামলা নেওয়া যাবে।
একই সময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দাবি করেন, যশোরে আপিল নিষ্পত্তির আগে ফাঁসি কার্যকরের ঘটনা সঠিক নয়। জেল আপিল শুনানি ও রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা নাকচের পরই তাদের দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
দুপুরে সচিবালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী। জানান, আপিল নিষ্পত্তির আগে ফাঁসি কার্যকরের তথ্য সঠিক নয়।
তিনি আরও বলেন, আমার কাছে যে তথ্যাদি আছে সেটার সঙ্গে যে খবর প্রকাশ হয়েছে তার কিন্তু কোনো মিল নেই।
মন্ত্রী বলেন, জেল আপিল শুনানির পর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা নাকচ করার পরই দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেল আপিলটা আপিল বিভাগে শুনানির পরে তাদের যে বিচারিক আদালতে এবং হাইকোর্টের দণ্ডাদেশ পরে সেটা বহাল রাখা হয় এবং বহাল রাখার পরে আসামিদ্বয় রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চান। সেটাও নাকচ করার পর রায় কার্যকর করা হয়।
এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত চান ভুক্তভোগীদের পরিবার। আগামী সপ্তাহে হবে নিয়মিত আপিল আবেদনের শুনানি।
ঘটনা ১৯৯৪ সালের ২৮ জুন। চুয়াডাঙ্গায় খুন হন ইউপি মেম্বার মনোয়ার হোসেন। এ ঘটনায় ২০০৮ সালে ১৭ এপ্রিল মোকিম, ঝডুসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়। ২০১৩ সালে মোকিম ও ঝড়ুর ফাঁসি বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এরপর আপিল করে তাদের পরিবার। ৩ নভেম্বর মামলাটি শুনানির জন্য আসে আপিল বিভাগের কার্যতালিকায়। আসামির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন মামলার আইনজীবী হুমায়ুন কবীর। তখনই জানা যায় ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হয়েছে তাদের।