বগুড়ায় ডিজে পার্টির এক শিল্পীকে (১৪) একাধিকবার ধর্ষণ ও তার ভাগ্নিকে (১৩) ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
ধর্ষণের শিকার ওই শিল্পীর বাবা শনিবার সকালে সদর থানায় মামলা করেছেন। গত ৭ জানুয়ারি রাতে শহরের দত্তবাড়ি বেনীকুন্ড লেনের ভাড়া ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতার তিনজন হলেন- বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কমলপুর চরের ইউসুফ আলীর স্ত্রী ডিজে শিল্পী নিছা খাতুন নিহা (১৯), গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের নিশিন্দারা আকন্দপাড়ার আনিসার রহমানের ছেলে নয়ন মিয়া শাহ (৩০) ও গাইবান্ধা সদরের থানাপাড়ার মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রাজু আহম্মেদ (২৭)। রাজু বগুড়া শহরের চেলোপাড়া ও নিহা শহরের দত্তবাড়ি বেনিকুন্ডু রোডে মিনকো প্যালেসের চতুর্থতলায় ভাড়া থাকেন। আসামি ও ভিকটিমরা ডিজে পার্টির শিল্পী।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তার মেয়ে ও নাতনি আসামি নিছা খাতুন নিহার সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ডিজে পার্টির অনুষ্ঠান করে। সেই সুবাদে আসামি রাজু ও নয়ন অপর আসামি নিহার বাবার শহরের মালগ্রামের বাসায় গিয়ে নাচগান করে থাকে। সেখানে তার মেয়ে ও নাতনির সঙ্গে আসামিদের পরিচয় হয়।
রাজু পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে গত ৭ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে দুই ভিকটিমকে নাচগানের কথা বলে আসামি নিহার শহরের দত্তবাড়ি বেনিকুন্ডু লেনে মিনকো প্যালেসের ভাড়া ফ্ল্যাটের চতুর্থতলায় নিয়ে যায়। রাত ৯টার দিকে রাজু আহম্মেদ ফোনে আসামি নয়ন মিয়া শাহকে ডেকে আনে।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজু তার (বাদী) মেয়েকে এক রুমে এবং নয়ন নাতনিকে অপর রুমে নিয়ে যায়। রাজু ভয় দেখিয়ে রাতভর একাধিকবার ধর্ষণ করে। এছাড়া নয়ন তার নাতনির শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ কাজে আসামি নিহা সহায়তা করে।
পরে ভিকটিমরা কৌশলে ফ্ল্যাট থেকে পালিয়ে বাড়ি এসে ঘটনা প্রকাশ করে। এ ব্যাপারে শনিবার সকালে সদর থানায় তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই সোহেল রানা জানান, গ্রেফতার তিন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ভিকটিমদের ডাক্তারি পরীক্ষা ও তাদের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।