ডুমুরিয়ায় এক মাস ৬ দিন পর গণধর্ষণের পর হত্যার শিকার যুবতীর কবর থেকে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) তার মরদেহ উত্তোলন করেছে থানা পুলিশ। আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভিকটিমের পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে থানা পুলিশ ছাত্রলীগ নেতাসহ তিন জনকে গ্রেফতার করে র্যাপিড একশন ব্যাটেলিয়ান র্যাব-৬ খুলনা।
মামলায় জানানো হয়, গত ২ আগস্ট সন্ধ্যায় ডুমুরিয়া উপজেলার রোস্তমপুর এলাকার সুরোত আলি শেখের মেয়ে জুলেখা খাতুন (১৮) কে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ওড়না দিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে স্থানীয় বুড়িভদ্রা নদীর চরের নির্জন পাটক্ষেতের মধ্যে নিয়ে রাতভর গণধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায় একদল দূর্বৃত্ত।
এদিকে জুলেখাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে গত ৬ আগষ্ট ঘটনাস্থল পাটক্ষেত থেকে স্থানীয়রা তার অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করে।
ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে চুকনগর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি চাকুন্দিয়ার নজরুল গাজীর ছেলে মোঃ ইমরান হুসাইন গাজী (৩০), চুকনগর সদরের শংকর ফকিরের ছেলে যুবলীগ কর্মী রাম ফকির (২৫) ও মিন্টু ফকির (২৬) কে গ্রেফতার করে র্যাব।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরোও ৩/৪ কে আসামী করে গণধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অপর আসামিরা হলো-সবুজ (২২) আসাবুর রহমান আশিক (২৬), বাবু মোড়ল (২২) ইমন সরদার (২২)। বর্তমানে তারা পলাতক রয়েছে।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শাহিনুর রহমান জানান, গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ভিকটিমের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের অনুমতি ক্রমে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। এদিনই ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, লাশ উদ্ধারের সময় দেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর স্থানীয় থানা পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় সুরোতহাল কিংবা ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করতে বাধ্য হয় ভিকটিমের পরিবার।