খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় চলতি মৌসুমে আমন ধানের ভালো ফলনের সম্ভাবনা নেই। এতে সোনালী ধানে সোনালী স্বপ্ন দেখছেন না কৃষকেরা। এদিকে এই ধান দেখে কৃষকের মুখে হাসি নেই। এবার ধানের ভালো ফলন না হওয়ায় কৃষকদের স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা ও জানাযায়, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নসহ এলাকার মাঠ জুড়ে পাকা ধানের সোনালি রঙের পোকায় খাওয়া ক্ষেত দেখা গেছে। উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে প্রায় জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। এবারে আমন ধানের মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকদের আমন ধান চাষে কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি। বিশেষ করে বীজতলা থেকে ধান রোপণ ও পরিচর্যা সব মিলিয়ে মাঠে মাঠে কৃষকের সোনালী ধান এখন দর্শনীয় হয়ে উঠেছে কিন্তু পোকায় খেয়ে ধান শেষ করে দিয়াছে।
এদিকে উপজেলার অনেক মাঠে ধান পাকতে ও পাকা আমন ধান কাটতেও শুরু করেছে কৃষকেরা। তারপরও অধিকাংশ মাঠগুলোতে সোনালী ধানের শীষের সঙ্গে এখন দোল খেতে দেখছেন না কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। মাঠের পর মাঠ সোনালী রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে।
উপজেলার টিপনা গ্রামের কৃষক মো. ফরাদ সরদার ও আফজাল হোসেন মোল্লা জানান, আমি টিপনা ব্লোকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিতাকে চিনা তো দুরের কথা তাকে চোখে দেখেনি। আমি এ বছর ২ বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছি। আমি কৃষি বিভাগের পরামর্শে যথাসময়ে না পাওয়ায় ভালো পরিচর্যা না করায় আমার জমিতে ধান ভালো হয়নি ইতোমধ্যেই শিগগিরই ধানকাটা শুরু করবো, তেমন ভালো ফলন হয়নি।
উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের রানাই গ্রামের কৃষক মো. আলম বলেন, ‘এবার ৩বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। ধানকাটা শিগগিরইশুরু করবো, ফলনবেশী ভালোই হয়নি, যাহা হয়েছে আশাকরি বাজারে দামও ভালো পাবো।
উপজেলার কৈয়া হাটের ধান ব্যবসায়ী মো.মোরশেদ বলেন, ‘গত হাটে তেমন ধান আমদানি শুরু হয়নি। তবে টুকটাক বেচা-কেনা হয়েছে। আশা করছি দু-চারদিনের মধ্যে পুরোদমে ধান আমদানি শুরু হবে।
ডুমুরিয়া ইউনিয়নের ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘অধিক ফলেন জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার উপজেলার প্রায় ব্লোকে পোকার আক্রমণ থাকায় প্রতিটি ধানের ক্ষেতে এবার আমন ধানের ভালো ফলন হচ্ছে না।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিনের অফিসে গেলে তার নিকট আমন ধান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এব্যাপারে কিছু বলেননি।
ডুমুরিয়া উপজেলা এস পি পি পরানজয় নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান আমন চাষের শুরু থেকেই ভাল মানের বীজ, জমির উর্বরতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছি। বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি এলাকাতে ধান কাটা মাড়াই শিগগিরই শুরু হবে। ফলনও বাম্পার হচ্ছে। তারপরও যেসব জমির ধান ৮০ ভাগ পেকে গেছে ওই সব জমির ধান দ্রুত কেটে নিতে আমরা কৃষককে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিচ্ছি।