ডুমুরিয়া উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে সামাজিক ক্ষমতায়নও আইসুরক্ষা কর্মসূচির ব্র্যাকের উদ্যোগে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতাদের সাথে ফলোআপ সম্পর্কে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন রাইট ইন রাইট এর এরিয়া ও কোনভেনার মোঃ জিল্লুর রহমান, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান, বিশেষ অতিথি, বক্তব্য দেন ব্র্যাক ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার ম্যানেজার শিবদাস, ডুমুরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দিবাশীষ মন্ডল, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান, বক্তব্য দেন ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ূন কবির বুলু, ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহতাব হোসেন, ব্র্যাকের আর এইচ আর এন প্রকল্পের ডি আওয়াই এম শিখা রানী দাস, ডাক্তার বিপ্লব কুমার দাস, শিক্ষক দিবাশীষ চন্দ্র, আব্দুস সালাম, আব্দুল লতিফ মোড়ল, রাবেয়া বেগম, শিল্পী গাইন,ও জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
আলোচনাসভা শেষে ৬জন ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে ক্রেস ও চাদর উপহার দেওয়া হয়। বক্তব্য বক্তরা বলেন কিশোর ও তরুণরা প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে যাতে খোলামেলা কথা বলতে পারে এবং তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে সামাজিক ট্যাবু ও বাধাঁ রয়েছে তা দূর করা।
সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং জনমত গড়ে তোলার মাধ্যমে এমন একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে কিশোর ও তরুণেরা প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে নিঃসংকোচে কথা বলতে পারে এবং সঠিক তথ্য প্রাপ্তির মাধ্যমে
তাদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করতে পারে।
তরুণদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার এবং লিঙ্গ ভিত্তিক ন্যায়বিচারের জন্য সুশীল সমাজকে সম্পৃক্ত করে সমাজের সকল স্তরের যুবক-যুবতী ও কিশোর- কিশোরীদের জন্য এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলা যা তাদের যৌন ও প্রজনন অধিকার এবং অ-বৈষম্যমূলক লিঙ্গ প্রকাশের বিষয়ে সচেতন এবং ক্ষমতাবান আত্মপ্রত্যয়ী করবে ন্যায়বিচার পারস্পরিক সহায়তার মাধ্যমে সমন্বিত যৌনতা শিক্ষা ও যুব জনগোষ্ঠীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা।
নিজ অবস্থান থেকে CSE ও SRHR ইস্যুতে অবদান রাখার মাধ্যমে একটি প্লাটফরম তৈরি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান/কমিউনিটিতে SRHR ইস্যুতে নবীন প্রবীনের সমন্বয়ে সংবেদনশীল গোষ্ঠি তৈরি SRHR ও লিঙ্গভিত্তিক ন্যায়বিচারের বিষয়ে ভবিষ্যতে যে কোন প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে পারস্পরিক সম্পর্ক তৈরি ইয়ুথদের কাজের স্বীকৃতি, অন্যান্য ইস্যুথদের কাজে অনুপ্রানীত করা
সমন্বিত যৌনতা শিক্ষা/বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা জেন্ডার ও মানবাধিকার ভিত্তিক এমন এক কারিকুলাম, যেখানে বয়স ও সাংস্কৃতিক কাঠামো বিবেচনায় এনে বৈজ্ঞানিকভাবে সঠিক, বাস্তবসম্মত, নিরপেক্ষ তথ্য সরবরাহ করা হয়। সেখানে এইচআইভি এইডস, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয়ও আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত। এই বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা বা সমন্বিত যৌনতা শিক্ষার অন্যতম বড় একটি অংশ হচ্ছে প্রজনন স্বাস্থ্য। বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা বা সমন্বিত যৌনতা শিক্ষা বা কম্প্রিহেনসিভ সেক্স এডুকেশনে কম বয়সে যৌনতার ক্ষতিকর দিক, জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, গর্ভধারন, গর্ভপাত এবং যৌনরোগ সম্পর্কে পাঠদান থাকে, ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের শরীর সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি হয়। এর ফলে কোনটা ভালোবাসার স্পর্শ আর কোনটি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে- সেটা সহজেই চিহ্নিত করা যায়। এজন্য বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা বা সমন্বিত যৌনতা শিক্ষাকে বিশ্বের অনেকেই স্বাস্থ্য শিক্ষার একটি অংশ বলে মনে করে।