মাগুরখালী, আটলিয়া ও শোভনায় ৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকার ৪ টি উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
তিনি সোমবার ২৩জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টার সময় ডুমুরিয়া মাগুর খালী ইউপি কাঞ্চন নগর গ্রাম সড়ক উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রাম উন্নয়ন করেছে,যেমন চটচটিয়া সেতু নির্মাণে ২০ গ্রামের মানুষের স্বপ্ন পূরণ খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার অবহেলিত১৪নং মাগুরখালীতে ইউনিয়নের ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হচ্ছে যোগাযোগ থেকে শুরু করে পানি পরিশোধন ও সরবরাহ প্রকল্প স্থাপন, মন্দির-মসজিদ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিদ্যুৎসহ প্রায় সব খাতে উন্নয়ন হচ্ছে।
নির্মাণাধীন চটচটিয়া সেতু ঘিরে নতুন স্বপ্ন দেখছেন অবহেলিত মাগুরখালী ইউনিয়ন বাসী আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ সেতুটি চালুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা পোষণ করছেন। এটি চালু হলে মানুষ খুব সহজেই পাইকগাছা হয়ে খুলনা ও সাতক্ষীরা শহরে পৌঁছাতে পারবে। এতে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে৷ খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে অবহেলিত ইউনিয়ন ছিল ১৪নং মাগুরখালী ইউনিয়ন |পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৭ / ১ ফোল্ডার আওতাধীন মাগুরখালী ইউনিয়নের শিবনগর, পুর্বপাতিবুনিয়া, হোগলাবুনিয়া, পশ্চিমপাতিবুনিয়া, ঝরঝরিয়া, কাঠালিয়া, ব্রহ্মারবেড়, বৈঠাহারা, শেখেরট্যাক, মহাদেবপুর, মাগুরখালী, কোড়াকাটা, খোরেরাবাদ, হেতাইলবুনিয়া, চিত্রামারী, পারমাগুরখালী,গজালীয়া,কাঞ্চননগর,লাঙ্গলমোড়া, আলাদিপুর ও নাথেরকুল গ্রাম মিলে প্রায় ১৮ হাজার লোকের বসবাস। শহর থেকে এলাকাটি দূরে হওয়াতে এ যাবৎ কাল তেমন কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এখানে৷ চলাচলের ভালো কোন রাস্তা না থাকায় এলাকার মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ সহ্য করে আসছে সারা জীবন ইনস্টল এখানকার মানুষের চলাচলের একমাত্র গ্রামের নিজের বাড়ি থেকে অন্যদের বাড়িসহ মাধ্যম ছিল নৌকা। নৌকা যোগে তারা শহরে যাওয়া আসা করত। রাস্তাঘাট যা একটু ছিল তা বর্ষাকালে হাঁটু কাঁদা হয়ে যেতো। ফলে শহরের সঙ্গে মাগুরখালী এলাকার মানুষের যোগাযোগ একেবারই বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত বলা যেতে পারে। সেই সময় অনেক অসুস্থ রোগীকে অকালে প্রাণ হারাতেও হয়েছে চিকিৎসার অভাবে৷ যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় এক সময়মাগুরখালীর মানুষ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।বর্তমান সরকারের আমলে মাগুরখালীতে প্রায় সব সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়নকাজ চলছে। মাগুরখালী ইউনিয়নে ছোট বড় মিলে প্ৰায় ১৫০ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। যার মধ্যে ৯০ কিলোমিটার রাস্তা কার্পেটিং ও ইটের সোলিং দ্বারা উন্নয়ন হয়েছে। প্রায় আড়াই’শ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ মাগুরখালীতে বাস্তবায়নের হতে চলেছে। মাগুরখালী ইউপি চেয়ারম্যান বিমল সানা বলেন, সরকারের উন্নয়নমূলক কৃষ্ণ কর্মসূচির সুফল পুরোপুরিভাবেই পাচ্ছেন মাগুরখালীবাসী।
এ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করতে খুলনা-৫আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র যে ভাবে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেছেন তাতে মাগুরখালীবাসী তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ হয়ে থাকবে। মাগুরখালী ইউনিয়নকে উন্নয়নের রোল মডেল বাস্তবায়ন করতে যে প্ৰকল্প হাতে নিয়েছেন।সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্ৰ এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শহরের সঙ্গে প্রত্যন্ত এই অঞ্চলটির সেতু বন্ধন হয়েছে। ১৬৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ প্রায় শেষ হয়েছ৷ শিবনগর-চটচটিয়া ঘাটে গ্যাংরাইল নদীর ওপর ৩১ কোটি ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দে ৩১৫ আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে সেতুটি। এটা হলে দুই জেলা শহর তথা খুলনা ও সাতক্ষীরার মানুষ ডুমুরিয়া ভায়া কপিলমুনি হয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন যেমনি বাজবে তাদের সময় তেমন বাজবে তাদের অর্থ। আমুড়বুনিয়া, চিত্রাযারী ও পশ্চিম উদ্বোধন ও ছাড়া পি এম সুন্দর বুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধনের পূর্বে, শেষে মাগুর খালি ইউনিয়ন পরিষদে মাগুর খালি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ সানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রবিউল ইসলাম , শোভনা ইউ পি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র সরদার, ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহতাব হোসেন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ জামিল আক্তার লেলিন মাইকেল রায়সহ ইউপি সদস্য বৃন্দ। অনুষ্ঠান সার্বিক সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক মাসুম।
উল্লেখ্য, ডুমুরিয়া উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩৩০ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে।