শেখ মাহতাব হোসেন :: খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় ব্যাটারি চালিত অবৈধ ভ্যান, ইজিবাইকের যানজটে এলাকাবাসী। যেখানে সেখানে ইচ্ছে হলেই অঘোষিত স্ট্যান্ড বানিয়ে যাত্রী ওঠানামা করায় মূলসড়কগুলোতে যানজট লেগেই থাকে।
এসব যানবাহনের বেপরোয়া চালানোর কারণে দুর্ঘটনা লেগেই আছে। যাতায়াতের ক্ষেত্রে সুবিধা থাকায় ব্যাটারি চালিত অবৈধ এসব যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এখন ব্যাটারি , ইজিবাইকগুলো জনসাধারণের ভোগান্তির কারণ হয়ে এসব যানবাহন বন্ধে মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করলেও অদৃশ্য কারণে সড়কে এসব যানবাহন গুলো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার সদর, খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়ক, চুকনগর স্ট্যান্ড, খর্নিয়ার টিপনা নতুন রাস্তা,খর্নিয়া স্ট্যান্ড, কাঠাল স্ট্যান্ড, গুটুদিয়া রাস্তা মোড়, জিয়া সড়ক, ১৮ মাইল স্ট্যান্ড, শরাফপুর সড়কসহ বিভিন্ন এলাকার অবৈধ এসব যানবাহনের কারণে যানজট লেগেই আছে।
এসব যানবাহনের বেপরোয়া গতিতে প্রতিদিন কেউ না কেউ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। উপজেলার ঘূর্ণিয়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা শেখর রায় বলেন, আমাদের এলাকার মানুষের তুলনায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, জ্ঞানের সংখ্যাই বেশি হবে। রাস্তায় বের হলে
আতংকে থাকি কখন যে দুর্ঘটনায় পড়ি।
ডুমুরিয়া সদর নাম প্রকাশে অনিচ এক হকার বলেন, আগে যখন ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক ভাড়া করে আমরা শান্তিতে বসে বাদাম, বুট, ছোলাসহ অনেক কিছু বিক্রি করতে পারতাম। এখন পাড়ার মতো পাইনা বিক্রির জন্য। ১৮ মাইল বাজার এলাকার বাসিন্দা সোহাগ বলেন, আমাদের এলাকায় যখন থেকে ব্যাটারি চালিত এসব যানবাহ করেছিল, তখন ভেবেছিলাম আমাদের চলাচলে অনেক সুবিধা হবে।
তবে এখন দেখি হিতে বিপরীত হয়েছে। জ্ঞানত ইজিবাইকের সংখ্যা পাওয়ায় যানজটের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে শব্দ দূষণ হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাইলে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শেখ দিদারুল হোসেন দিদার বলেন, এসব যানবাহন চলাচল বন্ধের জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে, তাছাড়া আমিও চাই এসব যানবাহন চলাচল বন্ধ হোক প্রতিদিনই এসব যানবাহনগুলো কোথাও না কোথাও ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটেই চলে ডুমুরিয়ার খর্নিয়া হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তা বলেন, অবৈধ ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক বন্ধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। এই সমস্যা দূর করতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা বেশি জরুরি।