ডুমুরিয়া (খুলনা) মায়ের শরীরে এই হরমোনের মাত্রা ৫০ শতাংশ, যেখানে অন্য মায়েদের মধ্যে এর মাত্রা থাকে মাত্র ৮ শতাংশ। অন্যদিকে স্তন্যদানকারী মায়ের স্তন ও জরায়ুর ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কাও কম। সন্তান গ্রহণের ফলে শরীরে যে বাড়তি মেদ জমা হয়, স্তন্যদান করলে তা আবার কমে যায়। স্তন্যদান করানোর মাধ্যমে গর্ভধারণের পরে আবার শরীরের স্বাভাবিক আকারে ফিরে আসা সহজ হয়।
অজ্ঞতার কারণে শিশুকে মাতৃদুগ্ধ থেকে বঞ্চিত করায় দেশের শিশুর অপুষ্টিজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি ও শিশুর মৃত্যুর হার বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ। একটি শিশুর সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য মায়ের দুধের কোনো বিকল্প নেই। ৩১ শতাংশ নবজাতকের মৃত্যু রোধ করা যায়, যদি মায়েরা জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে তাদের শিশুকে বুকের দুধ পান করান। শিশুদের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য অন্তত ছয় মাস ধরে মায়ের দুধ পান করানোর কোনো বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মিলনায়তনে এ অবহিত করন সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কাজল মল্লিক।
অবহিতকরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেণ, ডুমুরিয়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসার মোঃ আশরাফুল কবির, ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সুকান্ত সাহা, ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর আলম, ডাঃ রিফাত রহমান, উপজেলা খাদ্য অফিসার মোঃ কামরুল ইসলাম, খলশী, সাজিয়াড়া হাজিডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ শামছুজ্জামান, মিলন খান প্রমুখ।
অবহিতকরণ সভায় বক্তব্য বক্তরা বলেন, শিশুর জন্মের পরে কমপক্ষে ৬ মাস মায়ের দুধের কোন বিকল্প দুধ নেই। কেউ বেশি লাভের আশায় মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্য কোন দুধ পান করানোর পরামর্শ দিলে সেটি আইনগত অপরাধ এবং সেক্ষেত্রে প্রমান সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার শান্তির বিধান রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের সরকারি গেজেটে বলে বক্তারা তাদেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন।