শেখ মাহতাব হোসেন:: খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার মাটি রসুন চাষাবাদে উপযোগী হওয়ায় চলতি মৗসুমে এ উপজেলায় রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাম্পার ফলন ও স্থানীয় চাষীরা ভালো দাম পাওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের জোর দর কম থাকায় রসুনের প্রায় চার হাজার টাকা মন দরে বিক্রি হওয়ায় কৃষকরা রসুনের প্রতি আগ্রহ বাড়াচ্ছে।
চলতি মৌসুমে ডুমুরিয়া উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ করেছেন চাষিরা। তবে বিগত মৌসুমে এ উপজেলায় রসুনের আবাদ হয়েছিল ৪০ হেক্টর জমিতে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, জেলায় প্রায় ৫৩০ এ বছর রসুন চাষাবাদ করেছেন। হেক্টর প্রতি রসুনের উৎপাদন এবার ৭ টন। সে হিসেবে ডুমুরিয়ায় ৫০ হেক্টর জমিতে এ বছর ৪ হাজার ২৪০ টন রসুন উৎপাদিত হয়েছে। ভালো মানের প্রতি মণ রসুন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ টাকা।
সরেজমিনে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের টিপনা গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, চাষিরা মাঠ থেকে রসুনের আবাদ করেছেন।
রসুন চাষি রফিক সরদার (৫০) বলেন, এ বছর ২২ শতাংশ জমিতে রসুনের আবাদ করেছি। এবার মজুরিসহ সার, ডিজেলের দাম বেশি হওয়ায় বিঘা প্রতি ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ বেড়ে গেছে। গত মৌসুমে রসুন বিক্রি করে লাভবান হবেন বলে তিনি জানান।
চাষি ফরাদ বলেন, চলতি মৌসুমে জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের রসুনের আবাদ করেছি। এ বছর আবাদে খরচ বেশি লেগেছে। জমি চাষে ২ হাজার বীজ কিনেছি ৪ হাজার টাকা দিয়ে, সেচ দিতে ২ হাজার, ৩ বার জমি কোপাতে শ্রমিক খরচ সাড়ে ৭ হাজার, সার দিতে আড়াই হাজার, ওষুধ কিনেছি দেড় হাজার, রসুন ওঠাতে শ্রমিক খরচ ২ হাজার। স্থানীয় বাজারে ভালো মানের রসুন প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকায়।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, এ বছর ডুমুরিয়া উপজেলায় ৭৫ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ করেছেন কৃষক। উন্নতজাতের রসুন চাষ করতে কৃষকদের উৎসাহিত ও সহযোগিতা করতে মাঠপর্যায়ে কাজ করছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। তাই এবারও রসুনের বাম্পার ফলন হবে আশা করছি। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।