শেখ মাহতাব হোসেন:: খুলনার ডুমুরিয়ায় কৃষকরা দিন দিন সরিষা চাষে ঝুঁকছেন। সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকের চোখে মুখে আনন্দের হাসির ঝিলিক। সরজমিনে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায়, ফসলের মাঠগুলো সরিষা ফুলের হলুদ রঙে অপরূপ শোভা ধারণ করেছে। মাঠে পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত কৃষকেরা। ধান বা অন্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন সরিষা চাষে ঝুঁকছেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে বারি সরিষা-১৪ , বারি সরিষা-১৭, বারি সরিষা-১৮, বিনা ৪,৯ ও ১১ জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। এ বছর সরিষার আবাদ হয়েছে ৪৫৭হেক্টর জমিতে যা গত বছরের তুলনায় বেশি। গত বছরে ৩০০ হেক্টরে সরিষার আবাদ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে হেক্টর প্রতি ফলন গত বছরের তুলনায় বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, ফসলের মাঠগুলো সরিষা ফুলের হলুদ রঙের অপরুপ শোভা ধারণ করেছে। মাঠে পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ডুমুরিয়া উপজেলা টিপনা গ্রামের শেখ মনজুর রহমান বলেন, রোপা আমন কর্তনের পরে বোরো চাষের আগে জমি কিছুদিন পতিত থাকতো কিন্তু কৃষি অফিসের পরামর্শে স্বল্পমেয়াদী রোপা আমন ধান চাষের ফলে ও স্বল্পমেয়াদী সরিষা চাষের ফলে রোপা আমন ও বোরো ধানের মাঝে অতিরিক্ত একটা ফসল পাচ্ছি এবং পাশাপাশি পরিবারের সারাবছরের তেলের চাহিদা মেটাতে পারছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বারি-১৮ জাতের সরিষা সম্পর্কে জানান, ভোজ্য তেলের জন্য সবচেয়ে উপযোগী এ জাতের সরিষা। বিঘায় ৮-১০ মণ ফলন। এই জাতের সরিষায় কোলেস্টরলের মাত্রা অত্যন্ত কম এবং ইরুসিক এসিডের পরিমানও অত্যন্ত কম (১.০৬%)। হৃদরোগীরাও এই তেল খেতে পারবেন। এ সরিষার তেল কানাডার কেনুলা মান পরীক্ষায় প্রত্যায়িত।