শ্রমিকদের মারপিট, হুমকি-ধামকি ও সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ন কবির বুলুসহ ৮জনের বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। শনিবার(২ এপ্রিল) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) খুলনা পওর শাখা-১এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হাসনাতুজ্জামান বাদী হয়ে থানায় এ এজাহারটি দায়ের করেন।
এদিকে কাজে বাঁধা দেয়া ও শ্রমিকদের মারপিটের ঘটনা সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ন কবির বুলু।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত যার জেএল নং-৭৫, মৌজা নং-৮৩, ১৩৪, ১৪১, ১৪২, ১৪৩ ও ১৪৭ দাগের জমি ১নং বিবাদী গাজী হুমায়ন কবির বুলু দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে ভোগ দখল করে আসছেন। শনিবার সকাল ১০টার দিকে ওই জমিতে পাউবো কর্তৃপক্ষ সীমানা পিলার নির্মাণের জন্য শ্রমিক নিয়োজিত করে কাজ করতে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ন কবির বুলু তার সহযোগীদের সাথে নিয়ে কাজে নিয়োজিত শ্রমিক রবিউল ইসলাম ও সাইফুল ইসলামকে মারপিট, হুমকি-ধামকি ও সরকারী কাজে বাঁধা সৃষ্টি করেন।
এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ন কবির বুলু বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। কয়েকজন ভ্যান, ইজিবাইক ও মাহেন্দ্র চালক এসে আমাকে জানালো তাদের ষ্ট্যান্ডে (গাড়ি রাখার জায়গা) মেইন রাস্তার জায়গা ঘেষে কয়েকজন ব্যক্তি সীমানা পিলার নির্মাণের জন্য মাটি খোঁড়াখুঁড়ি করছে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখি পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজনদের সাথে স্থানীয় ড্রাইভার ও সাধারণ মানুষের সাথে বাকবিতন্ডা ও কথা কাটাকাটি চলছে। কোন শ্রমিককে আমি মারপিট বা গালিগালাজ করিনি।
তাছাড়া তার বিরুদ্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা অবৈভভাবে দখলের অভিযোগ সঠিক নয় বলে তিনি জানান, ঐ জমি তিনি বৈধভাবে অবমুক্ত করে নামপত্তন করাসহ সরকারি কর খাজনা দিয়ে ভোগ দখল করে আছেন। বিষয়টি নিয়ে খুলনা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। অথচ পাউবো কর্তৃপক্ষ ইতি মধ্যে আমার ঐ জায়গায় নির্মিত স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছেন।
ডুমুরিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ওবাইদুর রহমান বলেন, শ্রমিকদের মারপিট ও সরকারী কাজে বাঁধা দেয়ার ঘটনায় ৮জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২৫/৩০জনের বিরুদ্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা হাসনাতুজ্জামান বাদী হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।