শেখ মাহতাব হোসেন :: খুলনার ডুমুরিয়ায় বিলাসী জাতের মুখীকচু চাষে কৃষকে’র ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে। এবছর ডুমুরিয়া উপজেলায় মোট ৫০জন কৃষক প্রত্যেকে ২০শতক জমিতে মুখীকচু চাষ করেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগীতায় কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিলাসী জাতের মুখীকচুর প্রদর্শনী দেয়া হয় উপজেলার মোট ৫০জন কৃষককে। কৃষি অফিস থেকে তাদেরকে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। মুখীকচু চাষে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোসাদ্দেক হোসেনসহ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সরজমিনে মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া মুখীকচু চাষের উপর ৫০জন কৃষককে উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে। একারণে মুখীকচু চাষে তারা ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে পেরেছে।
এব্যাপারে আটলিয়া ব্লকের মালতিয়া গ্রামের কৃষক কামরুল ইসলাম মোড়ল ও আসাদ মোড়ল বলেন, বীজ ও সার আমরা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পেয়েছি। মাঘ/ফাল্গুন মাসে বীজ রোপন করেছি। এমাসেই ফসল তুলতে পারব। এবছর আমার জমির আগাছা পরিষ্কার ও পানি সেচসহ মোট ব্যয় করেছি ৮হাজার টাকা। আশাকরি ২০শতক জমিতে প্রায় ৪০হাজার টাকার মুখীকচু বিক্রয় করতে পারব।
কৃষক নুর ইসলাম বলেন, আমি গত ২২জুলাই মুখীকচুর ক্ষেতটি ৪০হাজার টাকায় বিক্রয় করেছি। কৃষক মাহাবুর রহমান বলেন, আমি গত ১৮জুলাই আমার মুখীকচুর ক্ষেতটি ৫৮হাজার টাকায় বিক্রয় করেছি। যা খরচের তুলনায় প্রায় ৫গুন লাভ হয়েছে। টাকাও একবারে পেয়েছি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশুতোষ দাস বলেন, আমরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার নির্দেশে প্রতিনিয়ন সরজমিনে মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, এবছর যারা মুখীকচু চাষ করেছে তাদেরকে আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি। ৫০জন কৃষককে বীজ ও সার দিয়েছি। এছাড়া আমরা মাঠে গিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছি। অল্প পরিশ্রমে বেশী লাভ হওয়ায় উপজেলার অনেকে মুখীকচু চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে।