সোমবার সকাল ১০ টায় খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের মাগুরখালী গেট সংলগ্ন মাগুরখালী নদী হতে মৎস্য অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসন ও ডুমুরিয়া থানার যৌথ আয়োজনে দুই শতাধিক অবৈধ বাঁধ অপসারন করা হয়েছে। এ সময় বাঁধের সহশ্রাধিক বাঁশ, খুঁটি, নেট, চারো ও পাটা কেটে পানিতে বিনষ্ট করা হয়। আটককৃত ২০০০ মিটার অবৈধ জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
অভিযান চলাকালীন ঘটনাস্থল হতে নেটপাটা ও বাঁধ নির্মাণের সাথে জড়িত মোঃ হারুন (৫০) নামে একজনকে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত আসামীকে ৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
এ সময় অভিযানে উপস্থিত সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মো আবুবকর সিদ্দিক বলেন বার বার নোটিশ করার পরও এদের থামানো যাচ্ছে না। পর্যায়ক্রমে সকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অন্যদিকে বেলা ১.০০ টায় আটলিয়া ইউনিয়নের চেংমারিতে লাভলু মোড়লের ঘেরে পোল্ট্রি লিটার ব্যবহারের অপরাধে ঘেরের কর্মচারি নূরুল ইসলাম ও ম্যানেজার আব্দুল্লাহ কে হাতেনাতে ধরে মৎস্য খাদ্য ও পশু খাদ্য আইন ২০১০ এর ১২ ধারায় অপরাধে ২০ ধারা মোতাবেক ৩০,০০০/- জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের জেল প্রদান করা হয়। দুপুর ৩.০০ টায় কাঠালতলা বাজারে ডিপো মালিক বকুল চন্দ্র জোয়ার্দার (৪৫) কে ডিপোর লাইসেন্স না থাকা ও চিংড়ি ভিজিয়ে রাখার অপরাধে মৎস্য ও মৎস্য পণ্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮৩ এর ৭ ধারা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪২ ধারা মোতাবেক ২০,০০০/- জরিমানা করা হয়। উক্ত ডিপোয় চিংড়ি বিক্রি করতে আসা ব্যবসায়ী স্বপন মন্ডল (৪৫) এর চিংড়ি পরীক্ষা করে পুশকৃত অপদ্রব্য বা জেলী পাওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালত তাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪২ ধারা মোতাবেক ৫০০০/- জরিমানা করেন। অভিযান শেষে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মো: আবুবকর সিদ্দিক বলেন ভোক্তার মুখে নিরাপদ মাছ পৌঁছে দিতে মৎস্য অধিদপ্তরের এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।