সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শনিবার , ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ডুমুরিয়ায় হাতিটানা নদী দখল করে পোল্ট্রী খামার! | চ্যানেল খুলনা

ডুমুরিয়ায় হাতিটানা নদী দখল করে পোল্ট্রী খামার!

শেখ মাহতাব হোসেন :: খুলনার ডুমুরিয়ার হাতিটানা নদীর জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে পোল্ট্রী খামারসহ অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা।
এতে বর্ষা মৌসুমে নিম্ন এলাকাগুলোতে ব্যাপকভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। শোভনা ইউনিয়নের মাদারতলা বাজার থেকে মাগুরখালী ইউনিয়নের কোড়াকাটা পর্যন্ত নদীর প্রায় ৮ কিলোমিটার দুই পাশ দিয়ে এসব স্থাপনা গড়ে তুলেছে স্থানীয়রা।
জানা যায়, দেশ স্বাধীনের আগে হাতিটানা নদীর মুখে সালতা নদীর মোহনায় বঁাধ দেয় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি নিষ্কাশনের জন্য বিকল্প হিসেবে সেই থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে বাইলহারা স্লুইচ গেট। কিন্তু মাদারতলা বাজার থেকে শুরু করে ব্রহ্মারবেড়, ঝরঝরিয়া, শুকোরমারি ও কোড়াকাটা পর্যন্ত নদীর দুই পাশ দিয়ে গড়ে উঠেছে এসব স্থাপনা। ফলে বর্ষাকালে পানি নিষ্কাশনে বঁাধা হওয়ায় এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
বাইলহারা গেটের মোহনায় কোড়াকাটা এলাকায় নদীটির প্রায় সিংহভাগ অবৈধ দখলে চলে গেছে। এখানে হেতালবুনিয়া গ্রামের কালিপদ মন্ডলের ছেলে স্বদেশ মন্ডল প্রায় এক একর নদীর জমি অবৈধভাবে দখলে নিয়ে সেখানে ৫টি পোল্ট্রী খামার গড়ে তুলেছে। এতে একদিকে এলাকায় যেমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে পানি নিষ্কাশনে বাঁধা হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া বসুন সানা, বিশ্বজিত মিস্ত্রীসহ অনেকেই নদী দখল করে স্থাপনা তৈরি করেছে।

এ বিষয়ে স্বদেশ মন্ডল জানায়, নদীর জায়গা দখল করেছি ঠিক, তবে সরকার আমাদেরকে আট বছর আগে ৫০ শতক জমি একসনা বন্ধবস্ত দেয়। মুলত সেখানে পোল্ট্রী খামার করেছি। ৫টি খামারে ৩ হাজার ডিমের মুরগী আছে। এখন আর ডিসিআর দেয়না। সরকার যদি নদী খনন করে তখন আমার খামার সরিয়ে নিবো।
এ বিষয়ে স্থানীয় শিবপদ গাইন বলেন, বর্ষাকালে আমাদের উঠান তলিয়ে যায়। নদী দিয়ে পানি সরার কায়দা নেয়ই দখলদারদের কারণে। আমরা চাই অবৈধ দখলমুক্তসহ নদীটি খনন। তাহলে অন্তত ডুবার হাত থেকে বাঁচতে পারবো।
শিক্ষক অমরেন্দু মন্ডল বলেন, অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়েছে হাতিটানা নদীটি। এ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের একটাই পথ এই নদী। বর্তমান বাহির পাশে নদীটি সিলটেড হয়ে পড়েছে। আর এরসাথে পাল্লা দিয়ে দখল উৎসবে মেতে উঠেছে কিছু অসাধু মানুষ।
এ প্রসঙ্গে মাগুরখালী ইউপি চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ সানা বলেন, সালতা ও হাতিটানা নদী সিলটেড হয়ে যাওয়ায় এবং নদী অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়ায় বর্ষা মৌসুমে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। অবিলম্বে এসব দখলমুক্তপূর্বক নদী খননের একান্ত জরুরী।
এ বিষয়ে সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো. মামুনুর রশীদ জানান, হাতিটানা নদীর জায়গায় অবৈধ স্থাপনাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

https://channelkhulna.tv/

বিশেষ প্রতিবেদন আরও সংবাদ

পাইকগাছায় কপোতাক্ষের ভাঙ্গনে ৪ গ্রাম বিলিনের পথে

২০ বছরেও শুরু হয়নি শিবসা নদী খননের কাজ: অবৈধ দখল ও গোচারণ ভুমিতে পরিণত

ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জেলেদের সুমদ্র যাত্রা

মন্নুজান প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর ভাই, ভাতিজিরা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে গড়ে তুলেছেন অনিয়ম ও দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য

বিল ডাকাতিয়া পানির নীচে, মাছ চাষীদের সর্বনাশ

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।