চলতি মাসের ২৬ তারিখের মধ্যে দেশে করোনাভাইরাসের টিকা আসবে ভারত থেকে। আর এ টিকা দিতে রাজধানী ঢাকায় ৩০০ কেন্দ্র করা হবে। আজ সোমবার এ কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সোমবার মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ সরকারিভাবে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার তিন কোটি ডোজ কিনছে, যার প্রথম চালান ২৬ জানুয়ারির মধ্যে দেশে পৌঁছাবে বলে আশা করছে সরকার।
সেরাম ইন্সটিটিউটে উৎপাদিত কোভিশিল্ড ছাড়াও ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাকসিন টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার।
সাংবাদিকদের ‘সবাই’ টিকা পাবেন জানিয়ে জাহিদ মালেক আজকের অনুষ্ঠানে বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময় সবচেয়ে ঝুঁকি নিয়ে যারা কাজ করেছেন, তাদের মধ্যে সাংবাদিকরা অন্যতম। আমরা জানি, অনেক সাংবাদিক করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন, অনেকে মারা গেছেন। এ কারণে টিকা এলে প্রত্যেক সাংবাদিক টিকা পাবেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতারা মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান, ডিআরইউতে যেন একটি টিকাদান কেন্দ্র খোলা হয়। উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার আপাতত হাসপাতালগুলোতে টিকাদান কেন্দ্র চালু করবে।
টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই হাসপাতালগুলোতে টিকার কেন্দ্র করা হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ের প্রথম ধাপে দেশের মোট জনসংখ্যার ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ অর্থাৎ এক কোটি ৫০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।