রাজধানী ঢাকার কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)’র শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় একমাত্র আসামী একমাত্র আসামি মজনুকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ-, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদ- দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার এই রায় ঘোষণা করেন।
চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৫টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। কুর্মিটোলা বাসস্টেশনে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তাকে অনুসরণ করতে থাকে। মাঝপথে তাকে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ঘটে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরে ওই ছাত্রীর। পরে তিনি রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ৬ জানুয়ারি সকালে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে ওই ছাত্রীর বাবা জাকির হোসেন ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি দায়ের করেন। গত ১৬ মার্চ ঢাকা মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আবু সিদ্দিক মজনুকে একমাত্র আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ১৬ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল-৭ এর বিচারক মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। এই মামলার ২৪ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। এর আগে গত ২৬ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল-৭ এর বিচারক আদালত অভিযোগ গঠন করেন। ১২ নভেম্বর আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দিন ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ অরেঞ্জ বলেন, ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার কার্যক্রম রাষ্ট্রপক্ষ ১৩ কার্যদিবসে শেষ করতে সক্ষম হয়েছে। আসামি মজনুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন।