ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল এখনই খুলে দেওয়া হচ্ছে না। হল খোলার বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্তই বহাল থাকছে। অর্থাৎ হল খুলবে ১৭ মে থেকে। ঢাবির একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য (ভিসি) ড. আক্তারুজ্জামান।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) একাডেমিক কাউন্সিলের সভা শেষে এমনই সিদ্ধান্ত জানান তিনি।
ভিসি বলেন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেও মহামারিতে জাতীয় সিদ্ধান্তের সঙ্গে মিল রেখে ১৭ মে হল খোলা হবে। এর আগে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টেদের করোনা টিকার প্রথম ডোজের আওতায় আনা হবে।
হল খোলার দাবিতে শিক্ষার্থীরা ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলেও যৌক্তিক কারণে হল খোলার বিষয়ে সরকার ও প্রশাসনের সিদ্ধান্তের প্রতি তারা সম্মান প্রদর্শন করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপাচার্য।
এদিকে, ঈদুল ফিতরের পর আগামী ২৪ মে থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস শুরু হবে বলে জানা গেছে। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এছাড়া শ্রেণিকক্ষে ক্লাস শুরুর এক সপ্তাহ আগে অর্থাৎ ১৭ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে। হল খোলার আগে কোনো শিক্ষার্থী হলে থাকতে পারবেন না বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক সব শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের করোনা টিকার আওতায় আনা হবে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের আগে থেকেই হল খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন ঢাবি শিক্ষার্থীদের একাংশ। এমনকি ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ও অমর একুশে হলে কিছু শিক্ষার্থী জোর করে উঠে পড়ার চেষ্টা চালান।
পরে বিকেলের দিকে ‘এক দফা এক দাবি/ হল খুলবে ফেব্রুয়ারি’ স্লোগান তুলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে আসেন। সেখানে তাদেরকে জানানো হয়, মঙ্গলবার একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা হবে। এই বৈঠক থেকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে ঢাবির হল খুলে দেওয়া হবে ১৭ মে