সাতক্ষীরা তালার তেরছি দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বই বিক্রয়ের ঘটনায় কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার । বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আতিয়ার রহমান সাক্ষরিত কারন দর্শানোর নোটিশে মাদ্রাসা সুপার শফিকুল ইসলামকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক কতৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে বিক্রি করে দেওয়ায় আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে স্বশরীরে হাজির হয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত বক্তব্য প্রদান করার জন্য বলা হয়েছে।
শুক্রবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আতিয়ার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এদিকে বিভিন্ন পত্রিকান্তে সংবাদ প্রকাশের পর শিক্ষা অফিসসহ সাংবাদিকদের দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে সুপার শফিকুল ইসলাম।
ঘটনার বিবরণে জানাযায়, ২৯ ডিসেম্বর দুপুরে তেরসী দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার সুপার শফিকুল ইসলাম কর্তৃক ২০২১ সালের মাদ্রাসার নতুন বই বিক্রয়ের অভিযোগে আনছার আলী নামক এক ফেরিওয়ালাকে আটক করে স্থানীয় জনতা। আনছার আলী নামক ঐ ফেরীওয়ালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ৩ বস্তায় (১০০ কেজি) পাঠ্যবই জব্দ করে স্থানীয় এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে খবর দেয়। এ সময় উপজেলা শিক্ষা অফিসার বুধবার বিকালে ৩ বস্তায় ১০০ কেজি বই উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে।
তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মো. বাবর আলী গাজী জানান, সুপার শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা মাঠের একাধীক মেহগনি গাছ কেটে আতœস্বাৎ সহ সহকারী শিক্ষকদের সিনিয়র স্কেলে বেতন তুলে জুনিয়র স্কেলে প্রদান, নিয়োগ বানিজ্যে সহ মাদ্রাসা ফান্ডের লক্ষ লক্ষ টাকা আতœস্বাৎ রয়েছে। মাদ্রাসার সুপার শিক্ষা অফিসকে টাকা দিয়ে হাত করে নিয়েছে বলে বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়াচ্ছে।
তেরছি দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার দিন সকালে ২০২২ সালের নতুন বই আমি মাদ্রাসায় রেখে আসি। এ বিষযে আমি আর কিছুই জানি না।’ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আতিয়ার রহমান জানান, নতুন বই বিক্রয়ের ঘটনায় মাদ্রাসার সুপারকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে কারন দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। উক্ত ঘটনার সুনির্দিষ্ট জবাব না দিতে পারলে তার বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, উক্ত ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে বইগুলো জব্দ করা হয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।