চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন লিয়াকতের বিরুদ্ধে। এদিকে অভিযোগের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
জানা যায়, করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষে মাঝে বিতরণের জন্য উপজেলা প্রশাসন মিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন লিয়াকতের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেয়। সেই ত্রাণ তিনি নিজের আত্মীয় স্বজন ও পছন্দের লোকদের মাঝে বিতরণ করেন। চেয়ারম্যানের সেই তালিকায় শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকের নামও রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন— ত্রাণ বিতরণের তালিকায় এলাকার কোটিপতি থেকে শুরু করে চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের নামও রয়েছে।
বিতরণকৃত ত্রাণের তালিকার ৭ নম্বরে মিরপুর বাজারের বিলাস ফ্যাশনের মালিক ও জয়পুর ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরাধন, ১১ নম্বরে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী কাশফুল মিষ্টি দোকানের মালিক যুবলীগ নেতা এমরান, ৬ নম্বরে মিষ্টি ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ, ১৪ নম্বরে শিল্পপতি মোগল কার্টুন ফ্যাক্টরির মালিক ময়না মিয়া, ৭৮ নম্বরে চেয়ারম্যানের শাশুড়ি পিয়ারা খাতুন, তালিকার ৬২ নম্বরে চেয়ারম্যানের শ্যালক রিপন মিয়ার নাম রয়েছে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ইউপি চেয়ারম্যান যে তালিকা তৈরি করেছেন সেটি সম্পূর্ণ গায়েবি। তালিকায় যাদের নাম-ঠিকানা রয়েছে এলাকায় ওই নামে কোন ব্যক্তিই নেই। আবার তালিকায় নাম আছে অথচ ত্রাণ পাননি অনেকেই রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন উপজেলা প্রশাসনের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিয়েছেন। পরবর্তীতে ওই লিখিত জবাবের সতত্য নিশ্চিতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ক্রিস্টোফার হিমেল রিছিলকে।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নিগ্ধা তালুকদার বলেন, ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের বিষয় নিয়ে একজন একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চেয়াম্যান তার জবাব দিয়েছেন।
এখন তদন্ত কমিটি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।