সেলিম হায়দার,তালা প্রতিনিধিঃ দখল হয়ে যাচ্ছে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দলুয়া-ঠান্ডা নদীর দলুয়া বাজারস্থ এলাকা। ইতোমধ্যে দখলদাররা দোকান নির্মাণে এক সনা বন্দোবস্ত নিয়ে সেখানে কয়েক দফায় তা সম্প্রসারিত করে দখলে নিয়েছে নদীর মূল অংশ। এতে রীতিমত অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে এক সময়ের ¯্রােতসীনি দলুয়া-ঠান্ডা নদীটি।
স্থানীয়দের অভিযোগ,দখল প্রক্রিয়া তরান্বিত করতে ভূমি দস্যুরা বিভিন্ন সময়ে নানা কৌশলে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-পালা ধ্বংস করেছে। সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী জনৈক নুর ইসলামের মালিকানাধীন ওয়ার্কসপের দোকান ঘরটি নদীর পাশে তৃতীয় দফায় সম্প্রসারণে সেখানে থাকা একটি তালগাছ কৌশলে মেরে দিয়েছে তারই ভাড়াটিয়া সরুলিয়ার মৃত ইসমাম সরদারের ছেলে ছেলে আছাদুল সরদার। সূত্র জানায়, আছাদুল দোকানটি ৫ বছরের জন্য প্রতিমাসে ১৫ শ’ টাকা চুক্তিতে ভাড়া নিয়ে সেখানে ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,আছাদুল দোকানটি ভাড়া নিয়ে সেখানেই বসবাস করে আসছেন। এমনকি সেখানে বসবাসের উপযোগী করতে সম্প্রসারিত জায়গায় তিনি একটি রান্না ঘর নির্মাণ করছেন।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (ইউএলএও) অরুন কুমারের নিকট জানতে চাইলে বলেন,তিনি নতুন এসেছেন। বিস্তারিত জানেননা। দখলের বিষয়টি সত্য হলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
স্থানীয় বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল সেলিম জানান,তিনি বিভিন্ন সময়ে দখল প্রক্রিয়ায় বাঁধা দিলেও তহশীল অফিসের সাবেক নায়েবসহ সেখানকার পিয়ন আক্তারুল বরাবরই সেখান থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে তাদের দখল প্রক্রিয়ায় বাঁধা না দিয়েই চলে গেছে। এসময় তিনি আরো বলেন,অচিরেই তারা ঐতিহ্যবাহী নদীটি বাঁচাতে জেলা প্রশাসকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট আবেদন জানাবেন।
বাজার বনিক সমিতির আরেক সদস্য মহাদেব সরকার,আতিয়ার সরদারসহ অনেকেই জানান,স্থানীয় ভূমি দস্যুরা বন্দোবস্তের নামে নদীর ধারের গাছ-পালা মেরে দফায় দফায় দখল প্রসারতা বাড়িয়ে চলেছে। তারা এর প্রতিকার চান।
তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে,বাজারের নদী তীরবর্তী অধিকাংশ দখলদাররাই দফায় দফায় তাদের বন্দোবস্তকৃত দোকানঘরের বাড়িয়ে নদী দখল অব্যাহত রেখেছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে ঐতিহ্যবাহী নদীটির পুরোটা দখল হতে খুব বেশী সময় লাগবেনা।
এব্যাপারে দখলদার নুর ইসলামের ভাড়াটিয়া আছাদুল সরদার এ প্রতিবেদককে জানান,তিনি প্রতি মাসে ১৫ শ’টাকা করে ৫ বছরের মেয়াদে ঘরটি ভাড়া নিয়েছেন। দখলের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন,রান্নার গরম পানির কারণে তাল গাছটি মরে যেতে পারে।