চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ পটুয়াখালীর দশমিনায় বিদ্যুৎ সরবরাহে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে লোডশেডিং। বিদ্যুৎ এখন এই আসে, এই যায়। আর এ আসা-যাওয়ার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন গ্রাহকেরা। মহামারি করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে দীর্ঘদীন যাবৎ ঘরবন্দী মানুষ। প্রচণ্ড গরমে ঘরবন্দী মানুষগুলো এখন অতিষ্ট। বিদ্যুতের এ লুকোচুরি থেকে নিস্কৃতি চায় গ্রাহকরা। উপজেলা সদরের সাইদুল বলেন, করোনার প্রভাবে উপজেলার সকল মিল কারখানা দোকান পাট বন্ধ থাকায় খুব কম বিদ্যুৎ ব্যাবহৃত হচ্ছে তারপরেও উপজেলায় বিদ্যুতের এ ঘাটতি কেন- তা সহজে বোধগম্য নয় । উপজেলার একাধিক ব্যাক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিনিয়ত সকাল হলেই বিদুৎ চলে যায়। ঘন্টার পর ঘন্টা আর দেখা মেলেনা। তবে বিদ্যুৎ আসলেও দুই তিন মিনিটের ভেলকী খেলার মত চলে যায়। বড়গোপালদী গ্রামের মোস্তাফিজ বলেন, ‘এখানে সকাল থেকেই লোডশেডিং শুরু হয়। এ লোডশেডিং চলতে থাকে। বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি । পুজাখোলা গ্রামের অভিভাবক ওয়াজেদ আলী লিটন বলেন, আমার মেয়ে এবার আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষাথী করোনায় স্কুল বন্ধ, বাসায় বসে লেখাপড়া করবে কিন্তু বিদুৎ এর এই লোডশেডিংয়ের ফলে পড়াশুনার বিগ্ন ঘটছে। আমরা সকল অভিভাবকেরা ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। কলেজ পাড়ার এক গ্রহক বলেন কোন রকম একটু বৃষ্টি হইলে বিদ্যুৎ হাওয়া ৮ থেকে ১০ ঘন্টার মধ্যে আর বিদ্যুৎ ফিরে পাওয়া যায় না। নলখোলার একজন গ্রাহক বলেন অফিসে ফোন করলেই বলে লাইনে সমস্যা গাছ পালায় লাইনে ক্ষতি করেছে অথচ কিছু দিন আগে দুই বারে টানা ২০ দিন বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে লাইনের সংস্কার করেছিল পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের এজিএম স্বপন কুমার পাল বলেন একটি ফিডারের আওতায় বাউফলের গোসিংগা, হাজির হাট, দশমিনা,আরজবেগী, গছানী লাইন চলে। তাই কোণ ধরনের ক্রটি দেখা দিলে মেরামত করতে একটু সময় লাগে। তবে আশার কথা হচ্ছে দশমিনায় ৩৩ কেঃবিঃ লাইন নির্মান হয়েছে ১১ কেঃবিঃ লাইনে খুটি বসানোর কাজ শেষ পর্যায়ে, সাব ষ্টেশনের কাজ চলমান, করোনার কারনে নির্মান কাজ একটু ধীরগতিতে চলছে। করোনা বিপর্যয় কেটে গেলে আমরা জুন মাস থেকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের সুবিধা সহ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারহ করতে পারব।