খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: শরিফুল ইসলাম বলেন, সংসারে দরিদ্রতা লাঘবে বরাবরই ভূমিকা রাখছেন প্রান্তিক নারীরা। পরিবার সামলানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি আয়ের সঙ্গে জড়িত তারা। অনেকে হাস-মুরগি ও গবাদি পশু লালন-পালন করেন। তবে প্রশিক্ষণ না থাকায় অনেকেই সফলতার মুখ দেখতে পারেন না। তবে প্রশিক্ষিত নারীরা দারিদ্রতা বিমোচনে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
রোববার (৩০ জুন) সকালে ফুলতলার জামিরা ইউনিয়ন পরিষদের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ব্যয় সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে গাভী ও গরু মোটাতাজাকরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণে তিনি এসব কথা বলেন। পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এবং উন্নয়ন সংস্থা নবলোকের বাস্তবায়নে ২৫ জন নারী সদস্যকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: শরিফুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ফজলুল করিম, জামিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম সরদার, নবলোকের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রসূন বিশ্বাসসহ সেবাগ্রহীতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণে বক্তারা বলেন, বাজারের ফিডের মূল্য প্রচুর বেশি হওয়ার কারণে বাজার থেকে ফিড কিনে গরু মোটাতাজা করতে প্রচুর অর্থের ক্ষতি হচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পুষ্টিসম্মত গো-খাদ্য খাওয়াতে পারলে খামারীরা লাভবান হবেন। এসব খাদ্যের মধ্যে রয়েছে টিএমআর, সাইলেস, খড় কাটা, ভুট্টা ভাঙ্গা ও চিটাগুড় মিশিয়ে তৈরি করা ফিড। এ খাবার দিয়ে স্বল্প ব্যয়ে গাভি পালন ও গরু মোটাতাজাকরণ করা সম্ভব। প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে গরু পালনে ব্যয় সাশ্রয়ী ধারণা পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন অংশগ্রহণকারীরা।