চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দৌলতদিয়াড়ে অঞ্জলি রানী বিশ্বাস (৫৫) নামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড় এলাকার দক্ষিনপাড়ার একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত অঞ্জলি রানী দৌলতদিয়াড় দক্ষিনপাড়ার নরসুন্দর গণেশ পরমানিকের স্ত্রী। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, দুর্বৃত্তরা বাড়িতে ঢুকে অঞ্জলিকে গলা কেটে হত্যার পর নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে যায়।
নিহতের ছোট ভাই অশোক কুমার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বোনের কোনো সন্তানাদি না থাকায় আমার মেয়ে তার সঙ্গে থাকতো। শনিবার কলেজ থেকে ফিরে বাড়িতে এসে দেখে বোনের মরদেহ পড়ে আছে। বিষয়টি আমাকে জানালে আমিও দোকান বন্ধ করে চলে আসি।
তিনি আরও বলেন, আমার বোন অসুস্থ ছিল। মেয়ের সঙ্গে সকালে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা ছিল। তার শরীরে পরিহিত গহনা ঠিক থাকলে ঘরের বাক্সের তালা ভেঙে তিন ভরি সোনার গহনা ও নগদ ২ লাখ টাকা নিয়ে গেছে। ধারণা করছি আমার বোনকে হত্যার পর লুট করে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। আমি আমার বোনের হত্যার বিচার চাই।
এদিকে, জনবহুল এলাকায় দিনেদুপুরে বাড়িতে ঢুকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পর জেলা প্রতিনিধি ঊর্ধ্বতন কর্মকতা, সিআইডি পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এক নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নগদ টাকা বা স্বর্ণালংকার লুট হয়েছে কিনা এ তথ্য আমরা পাইনি। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের নাম পেয়েছি। আমরা দ্রুত অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছি।